আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে মৃত্যু ৪ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৫০

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নেমে এসেছে। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ জন, এবং এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। ক্ষীরগঙ্গা নদীর অববাহিকায় একাধিক গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই দুর্যোগের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বাড়ি ও দোকান।

উত্তরকাশীর ধারালি গ্রাম থেকে পাওয়া ভিডিও দেখে আতঙ্কে কেঁপে উঠছেন নেটিজেনরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হড়পা বানে শুধু সাধারণ বাড়িঘর নয়, অন্তত ২০ থেকে ২৫টি হোটেল ও হোমস্টেও নদীর জলে ভেসে গেছে। পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ক্ষীরগঙ্গা নদীর জল ভয়াবহভাবে ফুলে ওঠে, যার ফলে নদীর দুই তীরই প্লাবিত হয়। তাতেই বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা।

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজে নামে জেলা প্রশাসন। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া অভিযানে সামিল হয়েছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (ITBP) ১৬ সদস্যের একটি বিশেষ দল। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “উত্তরকাশীর ধারালি অঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও উদ্বেগজনক। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থা উদ্ধারকাজে নেমেছে। আমি নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ঈশ্বরের কাছে সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।”

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডজুড়ে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের একাধিক নদী এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। হরিদ্বারে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গেছে অনেকটাই। গতকালও দুর্যোগে প্রাণ হারান আরও দু’জন। রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভেঙে পড়ে একাধিক দোকান। টানা বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জলের নিচে চলে গিয়েছে। এর মধ্যেই উত্তরকাশীতে নতুন করে এই দুর্যোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

See also  ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা না হলেও পূর্ব বর্ধমানে চলে এলো এক কোম্পানী আধা সেনা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি