প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ৩ নভেম্বর: দামোদর নদ থেকে মিললো ১০০০ বছরের পুরানো ব্যাসল্ট পাথরের বিষ্ণু মূর্তি। দামোদরে মাছ ধরতে নামা পূর্ব বর্ধমানের রায়নার হিজলনার জেলেদের জালে মূর্তিটি আটকা পড়ে। মূর্তিটি পুলিশ রবিবার নিজেদের এক্তিয়ারে নেয়।সংরক্ষণের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যায়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সোমবার মূর্তিটি রায়ানা থানা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যান।উমা-মহেশ্বরের মূর্তি উদ্ধারের ঘটনার পর ফের হিজলনা থেকে প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধারের ঘটনা এলাকার বাসিন্দা মহলে যথেষ্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
বিষ্ণু মূর্তিটি নিতে এদিন রায়না থানায় আসেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের দায়িত্বে থাকা শ্যামসুন্দর বেরা।মূর্তিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন , বিষ্ণু মূর্তিটি ব্যাসল্ট পাথরের।মূর্তিটি আনুমাননিক ১০০০ বছরের প্রাচীন , পাল সেন যুগের।মূর্তিটির উচ্চতা ২৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে মূর্তিটি সংরক্ষিত থাকবে বলে শ্যামসুন্দর বাবু জানিয়েছেন।
হিজলনা এলাকায় দামোদর নদ থেকে এই প্রথম কোন প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হল এমনটা অবশ্য নয় ।্য শ্যামসুন্দর বেরা জানান , ইতিপূর্বে ২০২০ সালে হিজলনা এলাকা থেকে শিষ্ট পাথরের তৈরি প্রাচীন উমা-মহেশ্বরের মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল । সেই মূতিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রাখা আছে। এ ছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে রায়নার হরিপুরে দামোদর নদ থেকে একটি সূর্য মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। সেই মূর্তিটি ৩ জানুয়ারী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় ।
রায়না থানার পুলিশ কর্তাদের কথায় জানা গিয়েছে,গত শনিবার রায়নার হিজলনায় দামোদরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় জেলেরা। তাদেরই জালে প্রাচীন মূর্তিটি আটকা পড়ে। এই খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ রবিবার এলাকায় গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণের জন্য মূর্তিটি নিতে চেয়ে রায়না থানায় আবেদন জানায়।সেই আবেদন অনুযায়ী সোমবার মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।








