আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

স্বপরিবার ছোট ছেলেকে পুড়িয়ে মারার চক্রান্তের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা ও দাদা ।

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৬ নভেম্বর 

ম্পত্তি নিয়ে বাবা ও বড় দাদার সঙ্গে বিবাদ চলছিল ছোট ছেলের ।সেই বিবাদের জেরে  ছোট ছেলে ,বৌমা ও দুই নাতনিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার জন্য  ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবার অভিযোগ উঠলো বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে ।আশঙ্কাজনক  অবস্থায় শেখ ইকবাল ,তাঁর স্ত্রী তুহিনা বেগম এবং তাঁদের দুই নাবালিকা কন্যা সুহানা খাতুন ও বিলকিস খাতুনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।  বুধবার দুপুরে সেখানে মারাযায় শেখ ইকবাল । বাকি তিন জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির খানো গ্রামের ডাঙাপাড়ায় ।স্বপরিবার শেখ ইকবালকে পুড়েয়ে মারার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার গলসি থানার পুলিশ  ইকবালের বাবা শেখ ইউসুফ ও তাঁর বড় ছেলে শেখ একরামকে গ্রেফতার করেছে । এদিন  দুই ধৃতকেই পেশ করা হয়  বর্ধমান আদালতে ।বিচারক দুই ধৃতের পাঁচদিন পুলিশ হেপাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন । ধৃতদের  দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন  ডাঙাপাড়ার আপামোর  বাসিন্দা।

 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে গলসি ২ নং ব্লকের খানো গ্রামের ডাঙাপাড়ায়  বসবাবাস করেন শেখ  ইউসুফ । তাঁর দুই ছেলে । ইউসুফ  তাঁর বড়ছেলে শেখ একরামকে  সম্পত্তির বেশিরভাগটা দিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন । ছোট ছেলে শেখ ইকবাল তার বিরোধীতা করে ।  এসব নিয়ে  প্রায়সই বাবার সঙ্গে ইকবালের আশান্তি লেগে থাকতো।  ইকবালের স্ত্রী তুহিনা বেগমের কাকা মসবুর আলি শেখ বুধবার লিখিত অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন , তাঁদের  জামাইয়ের প্রতিবাদ মেনে নিতে নাপেরে স্বপরিবার তাঁদের পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করে শ্বশুর ইউসুফ ও তার বড়ছেলে একরাম । পরিকল্পনা মাফিক ইউসুফ আগেই বাজার থেকে একটি চার লিটারের সিলিন্ডার কিনে তাতে গ্যাস ভরে রেখেছিল । অভিযোগ মঙ্গলবার রাত্রি আনুমানিক ২ টো নাগাদ  গৃহকর্তা শেখ ইউসুফ তাঁর ছোট ছেলের ঘরের দরজার  বাইরে থেকে তালা মেরেদেয় ।ওই সময়ে ঘরের একটি জানালা খোলা রেখে ইকবাল তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালিকা কন্যা  ঘুমাচ্ছিল । বধূ তুহিনার  কাকা  ও স্থানীয়দের অভিযোগ  পাইপের মাধ্যমে ছোট ছেলের ঘরের খোলা  জানালা দিয়ে ভিতর গ্যাস ঢুকিয়ে দেয় ইউসুফ । ওই ঘরে ভালমতো  গ্যাস ঢুকে যাবার পর  ইউসুফ  একটি কাঠিতে ন্যাকড়া জড়িয়ে তাতে কেরোসিন তেল ঢেলে  আগুন লাগিয়ে ইকবালের ঘরে ছুঁড়ে দেয়  । বধূ তুহিনা বেগমের কাকার অভিযোগ ইউসুফের এই গোটা পরিকল্পনার সঙ্গী ছিল তাঁর বড়ছেলে একরাম । ইউসুফ ন্যাকড়া জড়ান আগুনের কাঠি ইকবালের ঘরে ছুড়ে দেওয়া মাত্রই ঘরে বিভৎস ভাবে আগুন ধরেযায় । আগুনে পুড়ে তুমুল আর্তনাদ শুরুকরে ইকবাল , তার স্ত্রী তুহিনা ও তাঁদের দুই নাবালিকা কন্যা সুহানা এবং বিলকিস । আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে পৌছে দরজার তালা ভেঙে চারজনকে উদ্ধার করে । গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায়  ভোররাতে তাদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।  এদিন দুপুরে জামাই ইকবাল  মারাযায়।  আশঙ্কাজনক অবস্থায়  হাসপাতালে বিকি তিনজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । 

এদিন ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে পুলিশ  সিলিন্ডার ও একটি টর্চ লাইট সেখানে পায় ।  পুলিশ সেগুলি  বাজেয়াপ্ত করছে । তদন্তের প্রয়োজনে ঘরটিতে  পুলিশ  সধারনের প্রবেশ আটকে দিয়েছে । গলসি থানার পুলিশ জানিয়েছে নজিরবিহীন  এই হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।


See also  'খুচরো' পয়সার সমস্যায় জর্জরিত ব্যবসায়ীরা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি