

তৃনমূলের সক্রীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিনই বেলায় বর্ধমান হাসপাতালে পৌছান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি অভিযোগে বলেন ,অনিল তৃণমূল কংগ্রেস দলের একজন সক্রীয় কর্মী ছিলেন । বিজেপি কর্মীরাই অনিল মাঝিকে খুন করেছে বলে মন্তব্য করেন করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । রায়নার তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইও দাবি করেন মঙ্গলবার রাতে আলমপুর পার্টি অফিসথেকে অনিল বাড়ি ফিরছিল ।
পরিকল্পনা করে ওই রাতে এলাকার বিজেপি কর্মীরা অনিল মাঝিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে । যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । পাল্টা তিনি দাবি করেছেন , তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের লোকজনই দায়ী ।নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী । রায়নার সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছে ,২০১৫ সালের ১০ মে রাতে আলমপুর আদিবাসী পাড়া সংলগ্ন এলাকায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম ওরফে বাবলু । সেই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে অনিল মাঝি বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছে ।
মৃতর ভাইপো শুভেন্দু মাঝি জানিয়েছেন , তাঁর জেঠু অনিল মাঝি সক্রীয় ভাবে তৃণমূল পার্টি করতো । অন্যান দিনের মাতো মঙ্গলবারও রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁর জেঠু মাধবডিহি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল । কিন্তু রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি । এদিন সকালে এলাকার লোকজন মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর জেঠুকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ।
মাধবডিহির আলমপুরে আদিবাসী পাড়া লাগোয়া সাঁইপুকুর থেকে জেঠুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । কিছুটা দুরে হাটগোড়ে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে জেঠুর মোটর বাইকটি । খুনের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সেবিষয়ে মৃতর ভাইপোও কিছু জানাতে পারেনি । এদিন আলমপুর আদিবাসী পাড়ায় পৌছে দেখাযায় সেখানকার একটি দেওয়ালে রক্ত ছিটকে পড়ায় দাগ রয়েছে । সেখান থেকে সাঁইপুকুর পর্যন্ত যাওয়ার জায়গায়ও রক্ত পড়ে থাকতে দেখাযায়। তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ ওই ঘটনাস্থল এলাকা ঘিরে রেখে দিয়েছে । বৃহস্পতিবার ফরেনসিক দল সেখানে তদন্তে যেতে পারে বলে জানাগেছে ।
পুলিশ জনতে পারে সেই যুবককের নাম কৃষ্ণ হাঁসদা । এদিন তাঁকে আটক করে পুলিশ জেরা করা শুরু করে ।তদন্তকারী পুলিম কর্তাদের দবি জেরায় ধৃত খুনের কথা কবুল করার পরেই রাতে তাঁকে গ্রফতার করা হয়েছে ।