আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেলেণ্ডা গ্রামের রতন চক্রবর্তী তার স্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন ।চন্দনা দেবী ভাইফোঁটা দেবে বলে, কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে আর শেষ দেখা হলো না চন্দনা দেবীর পথ দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর আলিনগর চৌমাতা পেরিয়ে যখন পানুয়া গ্রামে পেরেছিলেন রতন বাবু ঠিক সেই সময় পিছনে বসে থাকা তার স্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তী মাথা ঘুরে পড়ে যান মোটরসাইকেল থেকে ।তিনি পড়েছিলেন একটা ইটের উপর , যার ফলে চন্দনা দেবীর মাথাটি ফেটে যায়, ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।এই ঘটনায় পানুয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে পাশাপাশি সেলেন্ডা গ্রামেতেও শোকের ছায়া নেমে আসে।
আগামীকাল ভাই দ্বিতীয়া তাই সমস্ত বোন ও দিদিরা ভাইয়ের বাড়ি যান কপালে ফোঁটা দিতে এমনটাই নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম মেনে চন্দনা দেবি যাচ্ছিলেন বাবার বাড়ি বর্ধমান ১এর জগ্দাবাদে।
কিন্তু নিয়তির কাছে হার মেনে বাবার বাড়ি আর যাওয়া হলো না আর ভাইফোঁটা ও দেয়া হলো না চন্দনা দেবীর।
পানুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ আরোজ জানান, আজকে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। উনি অন্য সম্প্রদায় হলেও এই ঘটনাতি আমার গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বহু মহিলা চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। খুশির দিনে, উৎসবের দিনে এরকম ঘটনা আমরা কেউ মেনে নিতে পারছিনা।