বর্ধমান জংশন স্টেশন ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌছান রেলের বিশেষজ্ঞ কমিটি । একই দিনে বর্ধমানে এসে স্টেশান ভবন ভেঙেপড়ার ঘটনার তদন্ত সারলেন রেলের তিন সদস্যের তদন্তকারী দল । যার নেতৃত্বে ছিলেন হাওড়া ডিভিশনের সিনিয়র সেফটি অফিসার তপন কুমার মাইতি । কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান না মেলায় স্টেশনের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে তদন্তকারী দল এদিন শুনানি শেষ করেন ।
বর্ধমান স্টেশান ভবনের মূল প্রবেশদ্বার ও তার সংলগ্ন অংশ ভেঙে পড়ার ঘটনার পর থেকেই চুড়ান্ত দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে দুর্ভোগে কার্যত নাকাল হন নিত্যযাত্রী ও সাধারণ রেল যাত্রীরা । স্টেশানে যাবার তিনটি প্রবেশ দ্বারের মধ্যে দুটি বন্ধ থাকায় এদিন একটি গেট দিয়ে স্টেশানের প্ল্যাটফর্মে পৌছাতে হয় যাত্রীদের । ভিড় এড়াতে অনেকটা ঘুরে মালগুদামের সামনের রাস্তা দিয়ে অনেকে প্ল্যাটফর্মে পৌছান । ভিড় সামাল দেবার জন্য প্ল্যাটফর্মে প্রচুর রেল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল । রেল পুলিশ টিকিট কাউন্টার ও প্লাটফর্মে কাউকেই বেশি সময় ধরে এদিন দাঁড়িয়ে থাকতে দেন নি । রেল পুলিশের অতি সক্রিয়তার জন্য যাত্রীদেরও হয়রানির মুখে পড়তে হয়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশানে পৌছান বিশেষজ্ঞ দল । স্টেশান ভবনের একাংশ ধ্বসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে আসা বিশেষজ্ঞ দল প্রথম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ফিতে দিয়ে তারা মেপে দেখেন কতটা জায়গা জুড়ে ঝুল-বারান্দাটি রয়েছে । একই সঙ্গে বিভিন্ন থামের উপরের দিকের অংশে বেরিয়ে থাকা ইটগুলির অবস্থাও তারা খতিয়ে দেখেন । এরপর ঝুল বারান্দার নীচের একটি জায়গায় গর্ত করে মাটির সহ্য-ক্ষমতা বোঝার চেষ্টা করেন বিশেষজ্ঞরা । পুনর্মিমানের জন্য কতটা অংশ ভাঙা যেতে পারে তার ‘স্কেচ’ ও তারা তৈরি করেন ।পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলের কেউ অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানান, রেলের তরফে ঘটনার তদন্ত চলছে ।পাশাপাশি আইআইটির(খড়্গপুর) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে।