আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পরিবার পরকীয়া মেনে না নেওয়ায় গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা দেওর ও বৌদির

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ২৭ অক্টোবর 

 নিজের বউদির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে  জড়িয়ে পড়েছিল দেওর ।  সম্পর্কের গভীরতা  বাড়ার পর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েফেলে । একথা জানার পর  প্রবল আপত্তি তোলেন পরিবারের লোকজন ।  সেই আপত্তি মেনেনিতে না পেরে   বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দেওর ও বৌদি । ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব  বর্ধমানের কাটোয়ার  ভালশুনি গ্রামে । দেওর ও বৌদি দুজনকেই উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে  জানাগেছে , ভালশুনি  গ্রামেই  বসবাস দাস পরিবারের  । বাবা মা ও তিন ভাই একই পরিবারে থাকেন ।পরিবারের   বড়ছেলে রবি ও  মেজো ছেলে রতন বিবাহিত । পেশায় রাজমিস্ত্রি  ছোট ছেলে রণজিৎ অবিবাহিত ।বছর দুই আগে মেমারির সামন্তী গ্রাম নিবাসী তরুণী  (লক্ষীর)  সঙ্গে  বিয়ে হয় চাষের কাজে যুক্ত দাস পরিবারের মেজো ছেলে রতনের । এই দম্পতির একমাত্র কণ্যা সন্তানের বয়স ৮ মাস । প্রতিবেশীরা বলেন , ভিন রাজ্যে কাজ শেষ করে কয়েক মাস  আগে ছোটছেলে রণজিৎ  বাড়ি ফেরে ।

অভিযোগ  এরপর  থেকেই  নিজের মেজো বৌদির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে  জড়িয়ে পড়ে রণজিৎ । সময় গড়ানোর সাথে সাথে তাদের  সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে ।  সম্প্রতি তারা  বিয়ে করার   সিদ্ধান্ত নেয়  । একথা জানার পরেই মাথায় হাতপড়ে পরিবারের সকলের  । তারা বিয়ে নিয়ে তুমুল আপত্তি তোলেন ।সেই আপত্তি মেনেনিতে পারেনি দেওর ও বৌদি ।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বাড়িথেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরবর্তি জায়গায়  যায় ।  সেখানে  ধারাল কিছুদিয়ে  বৌদি ও দেওর একে আপরের গালা কাটে।  রক্তাত অবস্থায় তারা দুজনে সেখানেই পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।


পুলিশ জানিয়েছে ,  ভালশুনি এলাকার  মাঠের ধারে দুজন পড়েছিল । দুজনের গলায়  ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে ।  কিকারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।

See also  মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি