নিজের বউদির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল দেওর । সম্পর্কের গভীরতা বাড়ার পর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েফেলে । একথা জানার পর প্রবল আপত্তি তোলেন পরিবারের লোকজন । সেই আপত্তি মেনেনিতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দেওর ও বৌদি । ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ভালশুনি গ্রামে । দেওর ও বৌদি দুজনকেই উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , ভালশুনি গ্রামেই বসবাস দাস পরিবারের । বাবা মা ও তিন ভাই একই পরিবারে থাকেন ।পরিবারের বড়ছেলে রবি ও মেজো ছেলে রতন বিবাহিত । পেশায় রাজমিস্ত্রি ছোট ছেলে রণজিৎ অবিবাহিত ।বছর দুই আগে মেমারির সামন্তী গ্রাম নিবাসী তরুণী (লক্ষীর) সঙ্গে বিয়ে হয় চাষের কাজে যুক্ত দাস পরিবারের মেজো ছেলে রতনের । এই দম্পতির একমাত্র কণ্যা সন্তানের বয়স ৮ মাস । প্রতিবেশীরা বলেন , ভিন রাজ্যে কাজ শেষ করে কয়েক মাস আগে ছোটছেলে রণজিৎ বাড়ি ফেরে ।
অভিযোগ এরপর থেকেই নিজের মেজো বৌদির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রণজিৎ । সময় গড়ানোর সাথে সাথে তাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে । সম্প্রতি তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় । একথা জানার পরেই মাথায় হাতপড়ে পরিবারের সকলের । তারা বিয়ে নিয়ে তুমুল আপত্তি তোলেন ।সেই আপত্তি মেনেনিতে পারেনি দেওর ও বৌদি । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বাড়িথেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরবর্তি জায়গায় যায় । সেখানে ধারাল কিছুদিয়ে বৌদি ও দেওর একে আপরের গালা কাটে। রক্তাত অবস্থায় তারা দুজনে সেখানেই পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।
পুলিশ জানিয়েছে , ভালশুনি এলাকার মাঠের ধারে দুজন পড়েছিল । দুজনের গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে । কিকারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।