তুহিন শুভ্র আগুয়ান; মহিষাদলঃ- মঙ্গলবার ভোররাতে প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেতা তাপস পাল। তার এই মৃত্যুতে এখন শোকস্তব্ধ সকল সিনেমা প্রেমী মানুষজন। আর এর মাঝেই তাপস পালের মৃত্যুর খবর মহিষাদল রাজবাড়িতে পৌঁছতেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তাপস পালের একাধিক মুহূর্তের সাক্ষী রয়েছে মহিষাদল রাজবাড়ি। তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিংও করেছেন এখান থেকে। আর তাই সামনে থেকে দেখা প্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর মহিষাদলে পৌঁছাতেই স্তব্ধ সকলে।
উল্লেখ, ২০১২ সালে রাজীব কুমার বিশ্বাস পরিচালিত বাংলা সিনেমা খোকা ৪২০ এর বেশ কিছু অংশ শুটিং হয়েছিল মহিষাদল রাজবাড়িতে। যে সিনেমায় বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিখ্যাত এই অভিনেতা তাপস পাল। আর তাই তিনি শ্যুটিং করতে এসেছিলেন মহিষাদল রাজবাড়িতে। শুটিং চলাকালীন বেশ কয়েকদিন তিনি স্থানীয় মহিষাদলের বহু মানুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। যার ফলে রয়ে গেছে স্মৃতি। ২০১২ সালের শেষের দিকে তাপস পাল অভিনীত এই বাংলা ছবির বেশ কিছু অংশের শুটিং হয় মহিষাদলে।
সেই সময় তিনি প্রায় এক সপ্তাহ এখানে এসে থেকে ছিলেন। মহিষাদলের বহু মানুষের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাপসবাবুর সরল সাদাসিধে মনোভাবের জন্য এখন মুগ্ধ সেইসব মানুষও। শুটিংয়ের সময় বহু দূর-দূরান্ত থেকে রাজবাড়ী চত্বরে অভিনেতাদের দেখার জন্য ভিড় জমতো। তবে এই ভিড়ে বিরক্ত না হয়েও শুটিংয়ের ফাঁকে কিছু সময় ওইসব মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতেন তাপসবাবু। এমনকি মহিষাদলের বেশকয়েকজন মানুষ এখানে তাপসবাবুর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগও পেয়েছেন। তারা আজ সকালে তাপসবাবুর এইরূপ অকাল প্রয়াণের কথা জানতে পেরে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন।
মহিষাদল রাজবাড়ি দেখভাল করেন স্থানীয় স্বপন চক্রবর্তী। তিনিও শুটিংয়ের সময় একাধিকবার তাপসবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এদিন সকালে এরূপ শোক সংবাদ শুনে তিনি জানান, “উনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমি নিজে উনাকে সামনাসামনি প্রত্যক্ষ করেছি। কিছুতেই মনে হচ্ছে না যে উনি আর নেই।”
তাপসবাবুর এই সিনেমার মহিষাদলে শুটিং হওয়ার সময় একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন মহিষাদলের বাসিন্দা পাপিয়া গুমট্যা। তিনি জানান, “উনি যখন মহিষাদলে এসেছিলেন তখন একবার আমি উনার সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ সকালে উনার মৃত্যুর খবর আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।”