আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

কাজ হাসিল, শোভন নিষ্ক্রিয়, হাসছে তৃণমূল!

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

লক্ষ্যভেদ। তাই হাসছেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপিতে যোগ দিলেও নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। এতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী বছর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। শোভন বসে যাওয়ায় আপাতত আর ততটা চিন্তা রইল না, যতটা আগে ছিল।

তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে মনান্তরের জেরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়।তার আগে অবশ্য মন্ত্রী এবং মেয়র পদে ইস্তফা দেন তিনি। পরে দিল্লি গিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে।একই দিনে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান শোভনের বন্ধুনী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অবশ্য একপ্রস্ত নাটক হয়। যেদিন শোভন-বৈশাখী বিজেপিতে যোগ দিতে যান, সেদিন দিল্লিতে বিজেপির দফতরে দেখা গিয়েছিল রায়দিঘির বিধায়ক তৃণমূলের দেবশ্রী রায়কেও। তখনই শোভন-বৈশাখী স্পষ্ট জানিয়ে দেন দেবশ্রী বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁরা দেবেন না। শোভনের গুরুত্ব বুঝে দেবশ্রীকে না নিয়ে শোভন-বৈশাখীকে দলে যোগদান করান বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এর পর বার দুয়েক চেষ্টার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন দেবশ্রী। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। দেবশ্রীকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশও। বর্ধমানের একটি সভায় বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন দেবশ্রীকে দলে নিলে আখেরে লাভ হবে পদ্ম শিবিরেরই। ওই সভায়ই তিনি শোভন-বৈশাখী সম্পর্কে কটূক্তি করেন। এর পরেই বিজেপি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয় শোভন-বৈশাখীর। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সম্পর্কেও প্রশংসা সূচক বাক্য শুনতে পাওয়া যায় তাঁদের মুখে।বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে দলের কোনও কর্মসূচিতেই যোগ দিতে দেখা যায়নি শোভন-বৈশাখীকে।

এতেই মুখের হাসি চওড়া হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘাসফুল শিবির সূত্রের খবর, তাঁরাও এটাই চেয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম শোভনদা যেন বিজেপিতে যোগ না দেন। যখন দিলেন তখন মনে মনে চেয়েছিলাম, শোভনদার সঙ্গে যেন গেরুয়া নেতৃত্বের কোনও কারণে দূরত্ব তৈরি হয়। তাহলেই কেল্লাফতে।

See also  উত্তর কলকাতার পুজোয় থিম সং গাইল চার দৃষ্টিহীন কিশোর-কিশোরী

তৃণমূল সূত্রের খবর, শোভন কোমর কষে নেমে পড়লে ২০২০র নির্বাচনে কলকাতা পুরসভার রাশ নিশ্চিত যেত পদ্ম নেতৃত্বের হাতে। ফের একবার মেয়রের চেয়ারে বসতেন শোভন। কারণ, তাঁর অত্যাশ্চর্য দক্ষতা এবং ভোটে জেতার অদ্ভুত কৌশল এই জোড়া ফলায় তিনি দখল করতেন পুরসভা। আর এরই পুরস্কার তাঁকে দিত গেরুয়া শিবির। তাঁকেই বসানো হত মেয়র পদে। তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় সে সম্ভাবনা আর রইল না বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরেরও একাংশ। 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি