প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৬ আগষ্ট

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে
গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রত মণ্ডল এখন শ্রীঘরবাসী।
শুধু গরু পাচারই নয়,সিবিআই ও ইডি প্রতিদিনই তাঁর নানা দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করে চলেছে। তা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে এবার পার্থর মতোই বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের ডানা ছাঁটা শুরু করলো দল ।তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রাম বিধানসভার যাবতীয় সাংগঠনিক কর্তৃত্ব ।
এখন থেকে এই তিন বিধানসভার সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন পূর্ব বর্ধমান
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ
চট্টোপাধ্যায়।বৃহস্পতিবার কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব।পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে এবার কি তাহলে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভপতির পথ থেকেও
সরিয়ে দেওয়া হবে অনুব্রতকে? এই প্রশ্নেন
এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু শুক্রবার বলেন,“দলীয় বৈঠকে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভার সংগঠন
আর অনুব্রত মণ্ডল দেখভাল করবেন না। এই
তিন বিধানসভার সংগঠন দেখভাল করবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়“।তাঁর নেতৃত্বেই এই তিন বিধানসভার সংগঠন পরিচালিত হবে।
তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু করা হবে“। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বাবু এদিন বলেন ,“দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মেনে তিনি কাজ করবেন“ ।
এদিকে দল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এদিন আউশগ্রামের গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগে কংগ্রেস করতাম । পরে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই আমি দলে আছি। আমরা কেউ দলের বাইরে নই।।দল যেমন নির্দেশ দেবে সেই ভাবেই আমরা চলবো“।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুসকরার এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বলেন,খুব ভালো হয়েছে । এতদিন সবেতেই বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতাদের দাদা গিরি সহ্য করতে হত। এবার
গুসকরা রাহু মুক্ত হল।