তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পরিবর্তনের পর এই প্রথম বিষ্ণুপুরে সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। নতুন জেলা সভাপতি সুব্রত দত্তের নেতৃত্বে শুক্রবার শহরের যদুভট্ট মঞ্চে আয়োজিত এই বৈঠকে তিনি দলের সকল নেতা-কর্মীকে বিভেদ ভুলে একযোগে লড়াই করার আহ্বান জানান। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত ৬টি কেন্দ্রেই জয়লাভের লক্ষ্যে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেন সুব্রত দত্ত। এই বৈঠকে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর ও বড়জোড়ার বিধায়ক যথাক্রমে তন্ময় ঘোষ, হরকালী প্রতিহার ও অলোক মুখোপাধ্যায় সহ জেলা, ব্লক ও পৌরসভা স্তরের সকল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
সুব্রত দত্ত বলেন, “এই বৈঠকে বিগত দিনের সমস্ত ভেদাভেদ ও মনোমালিন্য ভুলে একসঙ্গে কাজ করার ডাক দিয়েছি। এর অন্যথা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, ২০২৬ সালে বিষ্ণুপুরের ছয়টি আসন জিতে আমি তার মর্যাদা রাখব। কোনো রকম দলবাজি বরদাস্ত করা হবে না।” তার এই মন্তব্যে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ও ঐক্য ফেরানোর দৃঢ় বার্তা স্পষ্ট হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার অধীনে থাকা ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিই বিরোধীদের দখলে চলে গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে বিষ্ণুপুর ও কোতুলপুরের দুই বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়া ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে আসে। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে চিন্তিত। তাই বারবার সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এবার যুবশক্তির উপর ভরসা করে সুব্রত দত্তকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
