ডিজিটাল যুগে বেড়েছে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা। প্রতারণার শিকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রতারকদের জাল ভাঙতে একদিকে যেমন তৎপর হয়েছে প্রশাসন, তেমনি অপরদিকে নানা নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে নিজেদের বিস্তার করছে প্রতারকরা।এমন ভাবেই আবারও অনলাইন প্রতারণা শিকার হলেন হালিশহর খাসবাটি ঈশ্বরীনগর রোড এলাকার শুভেন্দু মুখোটী। জানা গিয়েছে, পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে টাকার প্রয়োজন হওয়ায়, সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে লোন সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য একটি অনলাইন অ্যাপ ডাউনলোড করেন। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি।শুভেন্দু বাবু তার সমস্ত বৈধ নথি দিয়ে ওই অনলাইন মাধ্যমে লোনের জন্য আবেদন করেন।

লোনের টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও, তারপর থেকেই অন্যান্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে তার অনুমতি ছাড়াই হাজার হাজার টাকা ঢুকতে শুরু করে। পরে বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাকে টাকা পরিশোধ করার কথা জানালে, তিনি সেই টাকা পরিশোধও করেছেন। কিন্তু তবুও প্রতারকরা নানা অছিলায় তাকে ব্ল্যাকমেইল করছে বলে অভিযোগ। প্রতারকদের তরফ থেকে আরও টাকা দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু বাবুর স্ত্রীর ছবিও অশ্লীল করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন প্রতারকরা।
অবশেষে, গোটা বিষয়টি নিয়ে হালিশহর থানা দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু বাবু। লিখিত অভিযোগ দায়রের পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটরে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টেরও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ওই ব্যক্তি। অভিনব এই প্রতারণার কথা সামনে আসতেই, রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছপ্রশাসনিক কর্তাদেরও। প্রতারিত হওয়া শুভেন্দু বাবু জানান, প্রতারকরা নানান নতুন পন্থা অবলম্বন করে মানুষকে প্রতারিত করছে। আমি প্রতারিত হয়েছি কিন্তু আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বর্তমানে সকলকে আরও সতর্কতা অবলম্বনেও বার্তা দিচ্ছেন প্রতারিত হওয়া হালিশহরের শুভেন্দু।