লাদাখের গালয়ান সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষ মৃত্যু হয়েছে কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ানের। তারই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না এবং খণ্ডঘোষ এলাকার জনগণ একত্রিত হয়ে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দিল। এর সঙ্গে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হলো। ভারতের অর্থনীতি চীনের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করে, অনুরূপভাবে চীন নিজেও নির্ভর করে ভারতের ওপর।
সে দিক থেকে দেখতে গেলে, সিনো দ্রব্য বয়কট করলে অবিলম্বে ভারতীয় বাজার থেকে নিজেদের বাণিজ্যিক দ্রব্য সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হবে চীন। তাই সকল ভারতবাসী দের প্রতি একটাই আবেদন, যেন চীনা জিনিস ব্যবহার না করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত এই উক্তিটি বারবার মানুষের সামনে দেশীয় শিল্প ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার নির্দেশ দেয়।
আজকের এই শহীদ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এর সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন, কাশীনাথ পাত্র, সুভাষ পাত্র ,পবিত্র কোনার, কৌশিক আঁশ, যাদব বাগ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ । ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এবং রাজনৈতিক দলের বিচার না করে ভারতবাসীর পরিচয় এ বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। সবশেষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। সেহারাবাজার কালিতলা থেকে বিশ্রাম ঘর পর্যন্ত এই বিক্ষোভ করা হয়,এমনটাই জানিয়েছেন সেহারা গ্রামের বাসিন্দা কাশীনাথ পাত্র ।
আমাদের ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচির ছবি আপনারা দেখেছেন। আবারো অভিনব বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘটনা ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।