সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ পাবেন যৌনকর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুদিন দেখছেন ভারতের আট লক্ষেরও বেশি যৌনকর্মী। প্রশ্নের মুখে যৌনকর্মী পেশা টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা। সুপ্রিম কোর্ট যৌনকর্মীদের পেশাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ তৈরি হলো যৌনকর্মীদের। যৌনকর্মীদের ছেলেমেয়েরাও মায়ের কাছেই থাকতে পারবে। শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক নির্দেশের পরেই এই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করে জীবন কাটানোটাই অভিশপ্ত কিনা।

বিতর্ক ছিল এই নিয়েই। ভারতীয় সমাজে মেয়েরা এমনিতেই অবহেলিত। যৌনকর্মী হিসেবে যে মেয়েরা কাজ করেছেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও তার অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মী হিসেবে কাজের মর্যাদা পাননি। কর্মী হিসেবে কাজ করাটা আসলে আর পাঁচটা পেশার মত একটা পেশা বলে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে যৌনকর্মীরা খুশি।কারণ যৌনকর্মীদের পেশার স্বীকৃতি পেল। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভারতীয় নাগরিক যৌন কর্মীরা পেশাগত স্বীকৃতির দাবি দেওয়া আদায়ে আন্দোলন করেছেন। যদিও যৌনকর্মী হিসেবে কাজের আইনি বৈধতা দেওয়া সমীচীন কিনা তা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলির মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
যৌনপল্লী বেআইনি বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে সমস্ত যৌনকর্মী হিসেবে পেশা বেছে নিয়েছেন তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। সারা ভারতে 8 লক্ষেরও বেশি মহিলা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। নাবালিকা পাচার করে যৌনপল্লীতে চড়া দামে বেচে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার করাটা পুরোপুরিভাবে বেআইনি। কত সংখ্যক নাবালিকা পাশবিক জীবনের শিকার তারা বলে স্পষ্ট নয়। সারা দেশে লক্ষাধিক যৌন কর্মীর মধ্যে 4 লক্ষেরও বেশি যৌন কর্মী দেশের পাঁচটি রাজ্যের বাসিন্দা। এই পাঁচ রাজ্যই হলো অন্ধ্রপ্রদেশ কানাডার তামিলনাড়ু, কেরল, ও তেলেঙ্গানা।
অন্ধ্রপ্রদেশে যৌন কর্মীর সংখ্যা 1 লক্ষ 33 হাজার। কর্নাটকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার যৌনকর্মী রয়েছেন। দেশের রাজধানী দিল্লিতে ও হাজার হাজার মহিলা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। উত্তরপ্রদেশে হাজার হাজার যৌন কর্মী রয়েছেন। যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন যে মহিলারা তারা বছরের-পর-বছর পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্বেচ্ছাসেবীরা মনে করছেন এতদিনে যৌনকর্মীরা সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ পেলেন।