সংবাদদাতা; হলদিয়াঃ রাজস্থান থেকে আনা হয়েছিল সাতটি উট। সেই উট বাজারের চড়া দামে বিক্রির অভিসন্ধি এঁটেছিল ওসাধু ব্যবসায়ীরা। পুলিশ জানতে পেরে হানা দিয়ে উদ্ধার করল সাতটি উটকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানায় ইতিমধ্যে উটগুলির খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উট বিক্রির একটি পোষ্ট চারদিকে ভাইরাল হয়। পোস্টটি পুলিশের চোখে পড়তেই শুরু করে তদন্ত। এরপর পুলিশ খবর নিয়ে জানতে পারে সুতাহাটা থানার দূর্বাবেড়িয়ার কয়েকদল অসাধু ব্যবসায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ঈদকে মাথায় রেখে রাজস্থান থেকে নিয়ে এসেছে সাতটি উট। স্থানীয় ঐ এলাকাতেই উটগুলিকে বেঁধে রেখেছিল বলে পুলিশ খবর পায়। এরপর রবিবার এলাকায় পুলিশ গোপনে হানা দিলে উদ্ধার হয় ৭টি বিশালাআকারের উট। এক একটির দাম লক্ষ টাকার সমান। তবে আগে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল উট কারবারের সাথে যুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে তাদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। উটের উপযুক্ত কাগজ না পেয়ে পুলিশ ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস’ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই এলাকার রেঞ্জ অফিসার জানান, “উট বন্যপ্রাণের মধ্যে পড়ছে না। তাই বন দপ্তরের বদলে এক্ষেত্রে পুলিশ কি ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।”
এদিকে পুলিশি অভিযানের পরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে উট বিক্রির পোস্টটি। উদ্ধার করে নিয়ে আসা উটের পরিচর্যা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। সোমবারই সুতাহাটা ব্লক প্রাণী বিভাগ থেকে বিশেষজ্ঞদের আনা হয়। উটগুলি যাতে অসুস্থ হয়ে না হয়ে পড়ে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম অধিকারী বলেন, “আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজ চালাচ্ছি। সঠিক কাগজপত্র না মেলায় উটগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে বিক্রির ফন্দি এঁটেছিল কিছু জন। আমরা সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করে তদন্ত করছি।”
