আসানসোলের কুলটি এলাকায় অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে দোকান তৈরির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে পুরনিগম। শুক্রবার পুরনিগমের আধিকারিকরা, যাদের মধ্যে ছিলেন ৯ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চৈতন্য মাজি এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুধাময় হাজরা, জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ওই জমি পরিদর্শন করেন। অভিযুক্ত দোকান মালিক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে জমিটি কেনার সময় তা ডাঙা জমি ছিল। স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এখন সবাই পুরনিগমের তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায়।
তদন্তের বিবরণ
শুক্রবার পুরনিগমের আধিকারিকরা জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত ওই জমি পরীক্ষা করেন। বোরো চেয়ারম্যান চৈতন্য মাজি এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুধাময় হাজরা জানান, পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়ার পর তারা জমিটি পরিদর্শন করেছেন। তদন্তের পর জমির মাপসহ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পুরনিগমে জমা দেওয়া হবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দোকান মালিকের অস্বীকৃতি
অভিযুক্ত দোকান মালিক গৌতম মাজি পুকুর ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ২০১০ সালে এই জমি কিনেছিলাম। তখন এটি ডাঙা জমি ছিল, কোনো পুকুর ছিল না।” তিনি আরও জানান, জমির সব কাগজপত্র পুরনিগমে জমা দেওয়া আছে।
স্থানীয়দের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করেন, জলাশয় ভরাট করলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। অন্যদিকে, কিছু মানুষের মত, জমির কাগজপত্র ঠিক থাকলে এতে কোনো সমস্যা নেই। এখন এলাকাবাসী পুরনিগমের তদন্ত রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে, যা এই বিতর্কের পরবর্তী দিক নির্ধারণ করবে।