এক ঝলক দেখলে মনে হতে পারে ছোট বড়ো অসংখ্য ডোবা সার দিয়ে কেউ যেন তৈরী করে দিয়েছে । আর সেই ডোবার পাড় ধরে কোনোরকমে টাল সামলে যাতায়াত করছে গাড়ি ঘোড়া ও পথচলতি মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে এমনই বেহাল অবস্থা বাঁকুড়ার ইন্দাস রেল স্টেশন থেকে চেকপোস্ট যাওয়ার রাস্তার। স্থানীয়দের বারবার আবেদন নিবেদনেও হাল বদলায়নি রাস্তার। স্বাভাবিক ভাবেই এই রাস্তা নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তৈরী হয়েছে। বাঁকুড়ার ইন্দাস রেল স্টেশন থেকে চেকপোস্ট যাওয়ার রাস্তা শুধু স্থানীয় ১০ -১২ টি গ্রামের মানুষের কাছে লাইফলাইন তাই নয়, এই রাস্তা ধরে শর্টকাটে ইন্দাস থেকে চেকপোস্ট হয়ে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যায় বর্ধমান শহরে। স্বাভাবিক ভাবেই ইন্দাস থেকে বর্ধমান শহরে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাই ব্যবহার করেন স্থানীয়রা।
এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে বেশ কিছু বেসরকারি বাসও। কিন্তু বছর কয়েক ধরে সেই রাস্তাই সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। শুধু রাস্তা থেকে পিচের আস্তরণ উঠে গেছে তাই নয়, রাস্তা জুড়ে তৈরী হয়েছে ছোট বড় খানা খন্দ। সেই খানা খন্দে কোথাও চেটো সমান আবার কোথাও দেড় থেকে দু’ফুট বর্ষার জল জমে ডোবার চেহারা নিয়েছে। রাস্তাটির অবস্থা এতটাই বেহাল যে খানখন্দ এড়িয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা একপ্রকার অসম্ভব। ফলে প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বুকে নিয়ে কার্যত প্রাণ হাতে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বারংবার ব্লক থেকে জেলা স্তরে রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু হাল বদলায়নি। পরিস্থিতি এমনই যে রাস্তার এমন হালের জন্য শাসক দলের স্থানীয় নেতা কর্মীরাও নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছেন।
রাস্তার এমন অবস্থা নিয়ে সমানে চলছে শাসক বিরোধী তরজাও। স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের দাবী বিধায়ক হিসাবে তিনি বিধানসভা থেকে পূর্ত দফতর সর্বত্র বারেবারে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র তাঁকে বেকায়দায় ফেলার উদ্যেশ্যেই ইন্দাস বিধানসভা এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে না শাসক দল। অভিযোগ উড়িয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের দাবী বিষয়টি জানা ছিল না। তবে দ্রুত রাস্তার অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে অভিজিৎ সরকারের রিপোর্ট।
