আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মেমারিতে জোড়া খুন: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ার ছেলে, গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

খোঁজ নেই ইঞ্জিনিয়ার ছেলের। গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মৃতরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। বুধবার সকালে জোড়া খুনের এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে শিউরে উঠেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকার মানুষজন। ঘটনার খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস সহ জেলা পুলিশের অন্যান কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান। একই সময়ে ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশ কুকুর । অগাধ সম্পত্তির মালিক বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের নেপথ্যে থাকা রহস্য উদ্ধারে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন,“জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে ’ফরেন্সিক’ দলেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দেহদুটি পড়ে ছিল। জায়গাটিও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনের কারণ নিয়ে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। মৃত দম্পতির ছেলেকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওনাদের মেয়ে বাইরে থাকেন। তাকে খবর পাঠানো হয়েছে।“

বৃদ্ধ দম্পতিকে যে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মতই একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরেয় বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা এই অংশে রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। পুলিশ এও জনেছে , বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো।হুমায়ূন বিবাহিত হলেও বহুদিন আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।স্থানীয়দের কথায় জানা গিয়েছে,হুমায়ুন বাইরে কাজ করতে করতে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে পেয়ে বাড়ি নিয়ে চলে আসে।গত ৪ মাস যাবৎ হুমাযুন বাড়িতে বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকছিল। আরও জানা গেছে, বাড়ির মধ্যে কোনো কিছু চুরি না গেলেও সিসিটিভির হার্ডডিস্ক উধাও‌। ঘটনার পর থেকে দম্পতির ছেলেরও খোঁজ নেই।


এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন জানান, ’মৃতের দেহের কাছে তার মোবাইল ফোন রাখা ছিল।“অপর বাসিন্দা মহম্মদ মইনুদ্দিন্ন কুরেশি জানান, মৃত দম্পতির সঙ্গে এলাবাসীর সদ্ভাব ছিল। তাদের ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। তার চিকিৎসা চলছিল।জানা গেছে, মোস্তাফিজুর চাষাবাদ করতেন। তাঁদের প্রচুর জমি জায়গা রয়েছে । পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দুপুরের পরে সাইবার ক্রাইমের অফিসারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। খুনের কিনারা উদ্ধারে পুলিশ হন্যে হয়ে নিহত দম্পতির ছেলের খোঁজ চালাচ্ছে।

See also  জাতীয় সড়কের ধারে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য


krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি