বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ ততই বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে কর্মরত সরকারী স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মচারীদের লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলনে । এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত জীবিকা সেবকরা । বাঁকুড়া জেলায় এদের সংখ্যা রয়েছে 112 জন ।
2010 সালে তারা কাজে যোগ দিয়েছিলেন তারপর 2017 সাল পর্যন্ত তারা সরকারি বেতন পেয়েছেন এতদিন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল । কিন্তু দীর্ঘ 46 মাস তারা কোনো বেতন পাননি স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের । তার উপর রাজ্য সরকারের দুয়ারের সরকার কর্মসূচিতেও তাদের কাজ করতে হচ্ছে কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না ।
তারা কেন বেতন পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে তার পরেও কোথায় সমস্যা কাদের গাফিলতি রয়েছে সে প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে চারিদিকে ।
বিশ্বজিৎ দে সৌরভ সন্নিগ্রাহী নামের জীবিকা সেবকরা বলেন , একটি পঞ্চায়েতে যত রকম কাজ আছে আমরা সবই করি । বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা বেতন না পেলেও ধারাবাহিকভাবে কাজ চালিয়ে এসেছি কিন্তু বর্তমানে এখন আর আমাদের চলছে না । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি হয় উনি আমাদের সমস্যার সমাধান করুন না হয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন ।
এখন দেখার বিষয় কতদিনে তাদের এই সমস্যার সমাধান হয় নাকি আবারও প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে নাকি মাসের পর মাস আবারও অপেক্ষা করতে হবে ।
এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি । বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাইতে হলে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করনা বলেন ।
উনি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের রেস্পেক্ট রাখেন না উনি ভিক্ষা প্রদান করে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতে চান । কিন্তু আমরা চাইছি জীবিকা সেবকদের রোজগার দিতে চাকরি দিতে কিন্তু তিনি সেটা চান না উনি ভাইপো ছাড়া কিছু বোঝেন না । তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা মানবিকতা সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।
