স্বামী অতীশ মজুমদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্ত্রী রূপাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
বুধবার দুপুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বাবা ও ছেলের দেহ হয়। মৃতদের নাম অতীশ মজুমদার(৩৩) এবং অমর মজুমদার (৭)। দীর্ঘদিন পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিক সমস্যায় অবসাদে ভুগছিলেন অতীশ মজুমদার। সেই কারণেই ছেলেকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা । পূর্ববর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
খণ্ডঘোষের নবগ্ৰাম কলোনী বাসিন্দা অতীশ মজুমদার। প্রায় ৬-৭ মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকেন খণ্ডঘোষের কুমীরকোলা গ্রামে । অতীশ মজুমদার তার ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৮ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন । একাধিকবার স্ত্রীকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করলেও স্ত্রী ফেরেনি । স্বামীর মানসিক রোগী অপবাদ দিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ । বুধবার ফের অতীশ বাবুর পরিবারের কয়েকজন কুমিরকোলা গ্রামে স্ত্রীর কাছে যান বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য । কিন্তু একই অপবাদ দিয়ে তাদের সকলকে ফিরিয়ে দেন অতীশ মজুমদারের স্ত্রী । তার স্বামীকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও বলেন পরিবারের লোকজনকে ।
ফিরে এসে বাড়ির লোকজনের কাছে কথা শুনে ঘরে ঢুকে ৮ বছরের নাবালককে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দেন ঘরের ভিতরে । সে সময়ে মেয়ে স্নানে গিয়েছিলো বলে জানা গেছে । অনেকক্ষণ ঘর বন্ধ দেখে পরিবারের লোকেরা সন্দেহ হয় । ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে দেখেন শিশু খাটের নীচে নিথর অবস্থায় পরে রয়েছে । আর অতীশ মজুমদার ঝুলন্ত অবস্থায় । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে । মৃতের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রীর সঙ্গে একজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় অতীশ তা মেনে নেয় নি।