এনফোর্সমেন্ট দফতর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বর্ধমানের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্লভা কালি বাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সরষের তেল মজুত করা হলো। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছাড়িয়ে পরে। এনফোর্সমেন্ট দফতরের আধিকারিকরা তেলের তিন গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।
নামি ব্রান্ডের সরষের তেলের সঙ্গে অপেক্ষামূলক কম দামি ভোজ্য তেল মিশিয়ে অধিক মুনাফার জন্য বাজারে বিক্রি করা হতো বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। টিনগুলি বাজেয়াপ্ত করার পাশপাশি, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষা করার পর ভেজাল ও অন্যান্য কি ধরনের উপকরণ মেশানো হতো অথবা কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হতো কিনা সেই বিষয়ে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট দফতরের আধিকারিকের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মধ্যেই অবৈধভাবে তেল মজুত ও ভেজাল মেশানোর অভিযোগ এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন লাকুর্দি এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। বাড়ির ভিতরে থেকে বিপুল পরিমাণ সরষের তেলের মজুত থাকার হদিশ মেলে। মজুত সংক্রান্ত নথিপত্র দেখতে বলা হলে তাঁরা কিছু দেখতে পারেনি বলে জানান আধিকারিকরা। কোনও বৈধ নথি না থাকায় সরষের তেলের টিন গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এছাড়া, বাড়ির মধ্যে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দামি কোম্পানির সরষের তেলের সঙ্গে কম গুনগত মানের তেল মিশিয়ে পুনঃরায় টিন গুলি সিল করে বাজারজাত করা হতো। বর্তমান সময়ে সরষের তেলের চড়া দামের বাজারে অধিক মুনাফা লাভের আসতেই এই কারবার চালানো হতো বলে জানা গিয়েছে।
ফুড এন্ড সেফটি বিভাগের আধিকারিক অভিক পান্ডা বলেন, এদিন ১৫ কেজি ওজনের মোট ১২৬টি টিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোনও রাসায়নিক উপকরণের সন্ধান মেলেনি। নমুনা পরীক্ষা করার পর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।