আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

‘গীতাঞ্জলি’র স্মৃতিবাহী বাংলো আজ পরিত্যক্ত! কেন্দ্রকে পদক্ষেপের আর্জি

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

স্নো ভিউ’ নামে পরিচিত ছোট্ট পাহাড়ি বাংলোটি এক সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিবাস ছিল, যা পরবর্তীতে কবি নাম দেন ‘হৈমন্তী’। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে অবস্থিত এই বাংলোতেই লেখা হয়েছিল ‘গীতাঞ্জলি‘-র একাংশ। তবে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিই বর্তমানে অবহেলায় জর্জরিত। বাংলোটির করুণ দশার প্রেক্ষিতে লোকসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।

তাঁর আবেদন, বাংলোটি যেন ‘হেরিটেজ‘ তকমা পায় এবং কেন্দ্র ও সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এর সংরক্ষণ নিশ্চিত করে।

তথ্য অনুযায়ী, ১৯০৩ সালে রামগড়ের ওই বাংলোটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মালিকানায় আসে এবং তখনই তার নাম হয় ‘হৈমন্তী’। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পিতৃস্মৃতি’ গ্রন্থে এ বাংলোর উল্লেখ রয়েছে, যেখানে অতুলপ্রসাদের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন— “এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর…“।

এই বাংলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কবির বহু স্মৃতি। জিরো আওয়ারে প্রতিমা মণ্ডল জানান, রবীন্দ্রনাথ এখানেই তাঁর কন্যাকে হারান যক্ষ্মা রোগে। তবে শোক সত্ত্বেও কবি ১৯১৪, ১৯২৭ ও ১৯৩৭ সালে আবার এখানে ফিরে এসেছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রথীন্দ্রনাথ, দিনেন্দ্রনাথ এবং অতুলপ্রসাদ সেন।

সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘হৈমন্তী আজ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রকে ও সংস্কৃতি মন্ত্রককে আমার একান্ত অনুরোধ ওই বাড়িটিকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক এবং দ্রুত এর মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হোক দ্রুত।

See also  দল প্রার্থী করলেও নানা আইনি গেরোয় ভোটে লড়া থমকে যতে বসেছে পূর্ব বর্ধমানের ডান বাম সব দলেরই একাংশ প্রার্থীদের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি