আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার এ করোনা আবহে অর্ডার না পেয়ে মাথায় হাত মৃৎশিল্পদের

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
প্রসেনজিৎ রায় ( পূর্ব মেদিনীপুর ) :-  ‘কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি, বোঝাই করা কলসী-হাঁড়ি’র ছবিটা এখন অতীত। তবুও হাজারো প্রতিকূলতা সত্বেও কোন রকমে নিজেদের প্রাচীণ ও ঐতিহ্যময় পেশা আগলে রয়েছেন এক শ্রেণীর মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু ‘করোনা’র আগমণ যেন সব কিছু ওলট পালট করে দিল।
মারণ ভাইরাস ‘করোনা’ সতর্কতায় ‘লক ডাউনে’র দিন গুলিতে কেমন আছেন মৃৎ শিল্পীরা? তা দেখতেই যাওয়া হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ঠেকুয়া বাজার এলাকায় মৃৎশিল্পদের কাছে। এখানকার মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি, কলসী তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের প্রদীপ, ধূনাচুর, সরা, টপ ইত্যাদি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সারা বছর সেভাবে বিক্রি না হলেও বিশ্বকর্মা পূজা থেকে শারদোৎসব সহ অন্যান্য পুজো পার্বনের আগে খুব ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এবছরের ‘করোনা’র উপস্থিতির জেরে চলতি মরশুমে কোনও ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান না হওয়ার এখন চরম দূর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পরা। এমনটাই জানিয়েছেন তারা।
এখানকার মৃৎশিল্পী স্বপন পাল বলেন, মাটির জিনিসপত্র তৈরি ও তা বিক্রি করে আমাদের সংসার চলে। লকডাউনের কারণে বিক্রিবাটা নেই। সামনে শারদোৎসব সেই আশায় রয়েছি। এবং সুদর্শন পাল বলেন, প্রতিবছর পূজোর আগে প্রচুর অর্ডার থাকে, পাশাপাশি এলাকায় যেমন তমলুক, কালিরহাট, নন্দকুমার, শ্রীরামপুর বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসে কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেভাবে অর্ডার নেই এখন। খুব চিন্তায় রয়েছি আমরা।
See also  নকল ঘি তৈরীর কারখানার হদিশ বর্ধমানে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি