প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান
কোন বেসরকারী ব্যাঙ্ক নয়,দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সঞ্চয়ের টাকা গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হলেন এক প্রৌঢ় খেতমজুর ।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে।একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রৌঢ় তারক মণ্ডল ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানালেও তা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোন হেলদোল দেখায় না।
এরপরেই একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনার সবিস্তারর উল্লেখকরে মঙ্গলবার জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রৌঢ় তারকবাবু।পুলিশ মামলা রুজু করে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। প্রৌঢ়র প্রত্যাশা,পুলিশ নিশ্চই তাঁর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে জালে পুড়ে তাঁর টাকা ফেরৎ পাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
প্রৌঢ় তারক মণ্ডলের বাড়ি জামালপুরের সেলিমাবাদ গ্রামে। খেতমজুরির কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন।পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন
,স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার(এস বি আই)’জামালপুর’শাখার তাঁর একাউন্ট রয়েছে।উপার্জনের টাকা থেকে সংসার খরচ চালিয়ে তিনি কিছু কিছু করে টাকা জমাতেন।
সঞ্চয়ের সেই ১ লক্ষ টাকা চলতি বছরের ২৭ *অক্টোবর * তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের জামালপুর শাখায় থাকা তাঁর একাউন্টে জমা করেন।ব্যাঙ্কেই তাঁর টাকা সুরক্ষিত থাকবে বলে তিনি নিচ্চিৎ ছিলেন। এরপর নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখ একই ব্যাঙ্কে নিজের একাউন্টে আরও ১৬ হাজার টাকা জমা করেই একাউন্ট বই আপডেট করেন। তখনই তিনি জানতে পারেন নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে তাঁর একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।
এমনটা জানতে পারার পরেই তারক মণ্ডলের মাথায় হাত পড়ে যায়।তারক বাবু মঙ্গলবার পুলিশ কে বলেন,আমার একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে জেনেই আমি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে ছুটে যাই। ম্যানেজার আমাকে বলেন,আমার একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাবার বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ জানাতে। সেই মত তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে উদ্দেশ্য করে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।অভিযোগের তদন্ত করে দেখার জন্যো ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কিছুদিন সময় চান। সেই সময় শেষ হলে আমি মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে যাই।
কিন্তু এদিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সব দায় এড়িয়ে গিয়ে আমায় বলেন,ব্যাঙ্কের কিছু করার নেই । আমার একাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যাবার বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার আমায় থানার অভিযোগ জানানোর কথা বলে দায় সারেন। তাই সুরক্ষার জায়গায় সঞ্চয়ের টাকা জমা রেখে প্রতাড়িত হয়ে এদিন পুলিশেরই দ্বারস্থ হন বলে তারক মণ্ডল জানিয়েছেন।
এস বি আই এর ’জামালপুর’ শাখার ম্যানেজার অরবিন্দ কুমার এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম কে কিছু বলতে চান নি। তবে অভিযোগ পাবার পর নড়ে চড়ে বসেছে জামালপুর থানার পুলিশ ।জামালপুর থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন,অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে । তারক বাবুর প্রত্যাশা ,তাঁর টাকা ফেরৎ পাবার ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চই কিছু একটা ব্যবস্থা করবে।
