অর্ঘ্য ব্যানার্জি – ভাগ্যের চাকা কখন কোন দিকে ঘোরে কে বা বলতে পারে, লটারির টিকিটে নিমেষে ভাগ্য বদল হল বৃহস্পতিবার বর্ধমান ২ ব্লকের বাম এলাকার যুবকের। লটারিতে কোটি টাকা জেতার পর নিজেও যেন ঘাবড়ে জান শেখ হীরা। তিনি জানান আমি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। কি করবেন? নিজেই যেন বুজে উঠতে পারছিলেন না।
শেষ পর্যন্ত শক্তিগড় থানার দ্বারস্থ হন তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের লটারিতে জেতার টাকায় অসুস্থ মাকে চিকিৎসা করবে এবং বাড়ি করবে। তাঁর লটারি টিকিট কাটার প্রতি ঝোঁক অনেকদিনের। কিন্তু এভাবে যে তিনি কোটি টাকা জিতে যাবেন তা ভাবতেও পারেননি শেখ হীরা। টিকিট বিক্রেতা শেখ হানিফ জানান, বহু বছর ধরে টিকিট ব্যবসা করছি কিন্তু কোন বার এত বড় পুরস্কার আমার দোকান থেকে ওঠেনি আজ আমি এমন পুরস্কার দিতে পেরে খুবই খুশি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা শেখ হীরা পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। গত বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কিছু জিনিস কিনতে গিয়ে তার পাশাপাশি ২৭০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিটও কিনে ফেলেন হীরা। এরপর নিজের কাজে চলে যান তিনি। এরপর দুপুরে লটারির ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় হীরার কেনা টিকিটের নম্বরটি জ্যাকপটের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক।
তবে এটাই প্রথমবার নয় হীরার লটারির টিকিট কেনা। বর্ধমান-২ ব্লকের বাম এলাকার বাসিন্দা হীরা শেখ এর আগেও বেশ কয়েকবার লটারির টিকিট কিনেছেন। হীরার বক্তব্য, তিনি প্রায়ই লটারির টিকিট কিনতেন। পাশাপাশি তিনি প্রায়ই এই স্বপ্ন দেখতেন যে একদিন তাঁর জ্যাকপট লাগবে। আর সেই স্বপ্নই অবশেষে সত্যি প্রমাণিত হল।
শেখ হীরার বক্তব্য, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ, আর তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে অর্থের অভাবের কারণে তাঁর মায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো চালাতে পারছিলেন না তিনি। তাই হীরার দাবি এত টাকা পাওয়ার পর তিনি প্রথমে মায়ের সঠিক চিকিৎসা করবেন, তারপর পরিবারের জন্য একটি ভাল বাড়ি তৈরি করবেন।