প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৭ সেপ্টেম্বর
এনআরসি আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে । এবার এনআরসি আতঙ্কে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের এক বাসিন্দার । মৃতর নাম কমল ঘোষ (৫৫)। পেশায় দিনমজুর এই ব্যক্তির বাড়ি জামালপুর থানার টেঙ্গাবেড়িয়ায় । সরকারী নথি জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়েপড়ে শুক্রবার বেলায় কমল ঘোষ মারাযান বলে পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন ।পরিবার কর্তার অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন পরিজনরা। এই মৃত্যুর ঘটনা জানার পরেই এনআরসি সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতর প্রতিবেশীরা ।

দূর্গাপুজো মেগা সেল ফ্লিপকার্টের, থাকছে আকর্ষনীয় ছাড়
টেঙ্গাবেড়িয়ার গয়লা পাড়ায় বসবাস করেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা । মৃতর দাদা ইতল ঘোষ জানিয়েছেন ,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতায় তাদের আদি বাড়ি । কাজের তাগিদে প্রায় ৬৫-৭০ বছর আগে তাঁর বাবা ভোলানাথ ঘোষ টেঙ্গাবেড়িয়ার গয়লাপড়ায় চলে আসেন । এরপরথেকেই তাঁদের পরিবারের সবাই টেঙ্গাবেড়িয়া গ্রামে বসবাস করছেন । ইতল বাবু বলেন , তার ভাই কমল দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালাতেন । মাটির দুকুটরি ঘরে বসবাস করে তার ভাইয়ের পরিবার ।পাশেই বসবাস করেন তিনি । ভাই কমলের ছেলে সুমন্ত কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করে । মেয়ে অপর্ণা স্থানীয় বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে ।
ইতল বাবু বলেন তাদের পরিবারের সবার ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড রয়েছে । তা সত্ত্বেও এনআরসি চালু হলে তাদের কিহবে একথা ভেবে তার ভাই ব্যাকুল হয়েপড়ে । এনআরসি চালু করে এই রাজ্যের ২ কোটি মানুষকে দেশ থেকে তাড়ান হবে এমন হুমকির কথা শোনার পরথেকে তাঁর ভাই কমলের দুশ্চিন্তা বাড়ে । চিন্তা করেকরে সুস্থ ভাই অসুস্থ হয়েপড়ে । কেউ আবার ভাইকে বুঝিয়েছিল ১৯৭১ সালের দলিল জোগাড় করতে হবে । তা নিয়ে কমলের দুশ্চিন্তা আরো বাড়ে যায় । কয়েকদিন ধরেই কমল তার বসত ভিটের নথিপত্র খোঁজা শুরু করে । কিন্তু বসত ভিটের নথির ব্যাপারে কমলের স্ত্রী সন্ধ্যা কিছুই জানাতে পারেনা । সেকারণে দুশ্চিন্তায় কমলের শরীর খারপ হতে শুরু করে । সেই দুশ্চিন্তাতেই এদিন ভাই প্রাণ হারালো । কমল বাবুর মৃত্যুর কারণ হিসাবে একই দাবী করে ছেন তার স্ত্রী সন্ধ্যা ঘোষ ও মেয়ে অপর্ণা ঘোষ ।
ছবি মৃত ও তার শোকারত পরিবার
প্রকাশ্যে ধূমপান করলে হতে পারে, আপনার জরিমানা ‘ চালু হল বর্ধমানে ‘
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email – [email protected]