রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। কিন্তু তার আগের সকালে বাজার বেরিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়ার যোগাড় শ্বশুরকূলের। মাছ, মাংস, সব্জী, ফল থেকে মিষ্টি সব কিছুর দামই আকাশছোঁয়া। ফলে চরম সমস্যায় মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী। তাই জামাই আদরে খামতি করতে মন না চাইলেও শেষ মুহূর্তে এসে বাজেটে কাঁটছাঁট করতেই হচ্ছে।
এদিন কোতুলপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেল আলু ১৫ টাকা, বেগুন ৫০, পেঁয়াজ ২৫, কাঁচা লঙ্কা ১০০, ঝিঙে ৩০, পটল ২০, টমেটো ৩০, করোলা ৫০, মূলো ১০০, গাজর ৫০। রুই মাছ ২০০, চিংড়ি ৫০০, খাসির মাংস ৭০০ টাকা, মুরগির মাংস ২০০ কেজি প্রতি, কাঁঠাল ২০০ টাকা পিস, লিচু ১৫০, আম ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সরিষার তেল ২০০ টাকা কেজি।

এদিন সকালে বাজারে আসা নিমাই চন্দ্র দাস, ভোলানাথ পাত্ররা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে হাত দেওয়াই ভার। আগে যেখানে একশো টাকায় কাজ হতো এখন সেখানে ৭০০ টাকা লাগছে। ফলে যেটুকু না করলেই নয় সেটুকুই বাজার করেছি।
মাছ বিক্রেতা সনাতন মল্লিক থেকে সব্জী ব্যবসায়ী সন্তোষ কুণ্ডুরা বলেন, বিক্রি এবার যথেষ্ট কম। অন্যান্য বছর মানুষ দু’তিন আগে থেকেই বাজার করতেন। এবার সেই ছবি উধাও। এক দিকে করোনাকালে মানুষের রোজগার কম, অন্যদিকে জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম। ফলে বিক্রি সেভাবে নেই বলেই তারা জানান।