চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে পথ চলা শুরু । তবে পাকাপাকি ভাবে তৈরী হতে সময় নিয়েছিল আরো বেশ কয়েকটি বছর ।
কম্পিউটারের সুবর্ণযুগ আসে ১৯৭১ এ মাইক্রোপ্রসেসরের আবিষ্কারের পর থেকে । ক্রমাগত বাড়তে থাকে কম্পিউটারের গণনার গতি ।
ধীরে ধীরে আবিষ্কার হয়েছে লিনাস্ক,উইন্ডোস,ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম । যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গোয়েজের ভাষা বদলেছে । কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কি ?
আজকের যেকোনো সাধারন কম্পিউটার—বিট, লজিক গেট, অ্যালগরিদমের উপর কাজ করে । কোয়ান্টাম কম্পিউটারেও ঠিক অনুরূপ ফিচার গুলোই থাকবে ।
শুধু সাধারন কম্পিউটারের বিটের জায়গায় কোয়ান্টাম কম্পিউটারে থাকবে কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট । যা বিশেষভাবে এক আলাদা উপায়ে কাজ করবে ।
পদার্থ বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম তত্ত্বের সঙ্গে বিষয়টির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে । কোয়ান্টাম তত্ত্বে,অ্যাটম এবং অ্যাটমের মধ্যে অবস্থিত ক্ষুদ্রতর অনুগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয় ।
কোন কোন সময় আলোকরশ্মি এমন আচরন করে যে, যাতে মনে হয় ঐ আলোকরশ্মিটি ক্ষুদ্রক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত ।
আবার অনেক সময় মনে হয় আলোকরশ্মি বাতাসে তরঙ্গের মাধ্যমে ভেসে আসে । বিজ্ঞানের ভাষায় একে wave-particle duality বলা হয়—এটি এমন একটি ধারণা যা আমরা আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব থেকে খুঁজে পাই ।
কোয়ান্টাম তত্ত্বের উপলব্ধি করা সত্যিই মুশকিলের কাজ । কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচাইতে বিভ্রান্তিকর উদাহরণ Schrödinger’s cat নামে পরিচিত ।
সংক্ষেপে এখানে বলা হয়েছে, যে কোয়ান্টাম তত্ত্বের এমন একটি অদ্ভুত দুনিয়াকে কল্পনা করো যেখানে একটি ক্যাট (Cat) বা বিড়াল একসঙ্গে জীবিত আবার মৃত।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে প্রসেসিং স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব ।
বর্তমানে যে সব গণনা করতে কয়েক বছর সময় লাগে ভবিষ্যতে মুহূর্তে সেই গণনা করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং –এ সাফল্য পেল গুগল
এবার কম্পিউটারের দুনিয়ায় একবিংশ শতকের নবতম সংযোজন কোয়ান্টাম কম্পিউটার । বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য এল কোয়ান্টাং কম্পিউটিং-এ ।
সম্প্রতি পরীক্ষামুলকভাবে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রসেসরে পরীক্ষা চালিয়েছে Google।
হাতেনাতে মিলেছে সাফল্য । নতুন এই প্রসেসর মুহূর্তে যে গণনা করেছে সবথেকে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের একই গণনা করতে সময় লাগবে কয়েক হাজার বছর । বুধবার Nature জার্নালে প্রকাশ্যে এই তথ্য সামনে এসেছে ।