আব্বাস আলী ( বর্ধমান ) :- হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় জাতীয় সড়কের ধারেই পড়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির
দেহ ।এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বড়াচৌমাথা এলাকার বাসিন্দা মহলে ।খবর পেয়ে আউশগ্রামের গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুস্কৃতিরা অন্য কোথাও এই ব্যক্তিকে খুন করে দেহ বড়াচৌমাথায় জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে । পুলিশ মৃতর পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃতর পরণে রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা।জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলির কাছে উবু হয়ে দেহটি পড়ে ছিল।তা দেখে প্রথমে এলাকাবাসী মনে করেন করোনায় মৃত্যু হওয়া কোন ব্যক্তির মৃতদেহ কেউ ফেলে দিয়ে পালিয়েছে ।সেই জন্যে আতঙ্কে এলাকার কেউ মৃতদেহের ধারে কাছে ঘেঁষছিলেন না ।তবে এই খবর পাওয়া মাত্রই গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি খতিয়ে দেখতে শুরু করে ।
তখনই পুলিশের নজরে আসে মৃত ব্যক্তির হাত ও পা বাঁধা রয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ।পুলিশের দাবি অজ্ঞাত পরিচয় মৃত ব্যক্তির বয়স পঞ্চাশের মধ্যে হবে । তাঁর মূখে ও শরীরের কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।বড়াচৌমাথা এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ডোম বলেন ,মৃত ব্যক্তি তাঁদের এলাকার বাসিন্দা নন । দুস্কৃতিরা অন্য কোথাও এই ব্যক্তিকে খুন করে তাঁদের এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়েছে বলেই তাঁরা মনে করছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে ,“ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।প্রাথমিক ভাবে এটি একটি খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে । মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলানো হচ্ছে । বুধবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে । রিপোর্ট হাতে পেলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে ।তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে“ ।