আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

লকডাউনে গলসিতে দুস্থদের দুমুঠো অন্ন তুলে দিচ্ছে ফজিলা ও জাহিরের রান্নাঘর

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

আজিজুর রহমান ( বর্ধমান ) :- লকডাউন শুরু থেকেই গলসিতে দুস্থদের দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে ফজিলা ও জাহিরের রান্নাঘর চালু করছেন। আর তা থেকে এলাকার শতাধিক মানুষকে নিয়মিত খাবার বিতরণ করছেন। জানা গেছে, লক ডাউন শুরুতে এলাকার মানু‌ষকে বিনামূল্যে  বিভিন্ন সাহায্য করতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা জাহির আব্বাস মন্ডল ওরফে সিপাই। সেই পোস্ট দেখে প্রথম দিনই এলাকার ত্রিশজন মানুষ খাবারের সাহায্য চেয়ে ফোন করেন।

তারপরই তাদের নিত্য খাবার যোগাতে নিজের খামার বাড়িতে শুরু হয় ফজিলা ও জাহিরের রান্নাঘর। এলাকার সেই খবর ছড়িয়ে পরতে দিনে দিনে তা বেড়ে এখন শতাধিক। জাহির আব্বাস বলেন স্ত্রী ফজিলা ও তিনি মিলে এখন সাধ্যমত নিজের গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের দুস্থদের মখে এক মুঠো অন্ন তুলে দিচ্ছেন। তাদের রান্নাঘরে বাইরের গ্রাম থেকেও সাইকেল নিয়ে খাবার নিতে আসছেন। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন। অসুস্থ মানু‌ষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছানোর ব্যবস্থাও করেছেন তারা।

পাশাপাশি জনগনকে সুরাহা দিতে অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করেছেন। শুরু করেছেন এলাকায় স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি। এমন উদ্দ্যোগে নিত্য খাবার পেয়ে দুস্থ মানুষরা বেশই উপকৃত হচ্ছেন।ফজিলা বেগম বলেন, তিনি গলসি ১ নং ব্লক পুর্ত কর্মাধক্ষা। জনপ্রতিনিধি হিসাবে এই কঠিন দুর্দিনে বাড়িতে বসে থাকতে পারিনা। বহু দিন আনি দিন খায় মানুষ এখন গৃহ বন্দী। তাই এলাকার মানুষকে সাধ্যমত সাহায্যে করছি। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তিনি এমন কাজ করে আসছি। পার্শ্ববর্তী রামগোপাল পুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তু দে বলেন, প্রতিদিন সাইকেলে করে খাবার নিতে আসেন।

এখানে বসে গ্রামের অনেক মানুষ খাবার খায়। তাছাড়া বাড়িতে বাড়িতে খাবারও পৌছে দিচ্ছেন জাহির আব্বাস। কোনদিন মাছ কোনদিন মাংস কোনদিন ডিমভাত। আবার কোনদিন খেচুরি বানিয়ে তাদের খাওয়াচ্ছেন। এমন কাজের জন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। জীবন্নেশা আনসারী বলেন, আমরা খুব গরীব মানুষ। বৃদ্ধ স্বামী তেমন খাটতে পারেনা। লকডাউনের পর থেকে বাড়িতে অভাব। তাই প্রতিদিন এখান থেকে খাবার নিয়ে যায়। এখানে খাবার না পেলে এই কদিন না খেয়ে থাকতে হত।

See also  লকডাউনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পুলিশের সামনেই চলছে টোটো

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি