চিকিৎসকরা সর্বত ভাবে চেষ্টা চালালেও বাঁচানো গেলনা দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে । মৃতর নাম বাবলু সেখ (৫০)। গত বৃস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম অঞ্চলে নবান্ন উৎসব চলাকালীন দুস্কৃতিদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হন এই তৃণমূল কর্মী । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকাকালে শনিবার বিকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয় । পুলিশ গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্তদের কেউ এখনও ধরা পড়েনি ।
তৃণমূল পরিচালিত বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ শহীদুল্লাহ এদিন বলেন , প্রতিবছরই কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম অঞ্চলে ঘটাকরে নবান্ন উৎসব পালিত হয় । নবান্ন উৎসব উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বেরুগ্রামে মহিলাদের ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল । খেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
কেতুগ্রাম যুব তৃণমূল সভাপতি কাজি জাহিরুল আলম ওরফে রাজ । পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎতই সেখানে হাজির হয় এলাকার দুস্কৃতি ফক্কর মল্লিক , জাহাঙ্গীর মল্লিক ,ইউসুফ মল্লিক , তারা মল্লিক ও ভগাই মল্লিক । তাঁরা আচমকাই চড়াও হয় জাহিরুল আলমের উপর । মাঠে থাকা লোকজন ওই দুস্কৃতিদের সেখান থেকে সরিয়েদেয় । জাহিরুলও খেলার মাঠ ছেড়ে চলেযায়। এর পর দুস্কৃতিরা মোড়গ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এসে জাহিরুল কাজির খুড়শ্বশুর মকবুল হোসেন ওরফে দুলুর উপর চড়াও হয় ।
দুলুকে লক্ষকরে দুস্কৃতিরা এলোপাতারি গুলি চালাতে শুরু করে । গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে লাগে কুলুট গ্রাম নিবাসী পথচারি সুনীল মাঝি ও ওড়গ্রাম নিবাসী তৃণমূল কর্মী বাবলু সেখের শরীরে । রক্তাত অবস্থায় এই দুজন রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে দুস্কৃতিরা পালায় ।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নিয়েযায় বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে । সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই দুজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । মহম্মদ শাহীদুল্লাহ বলেন , চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা চালালেও শেষরক্ষা হয়নি । শনিবার বিকালে বর্ধমান হাসপাতালে তৃণমূল কর্মী বাবলু সেখ মারা যায় । মহম্মদ শাহীদুল্লাহ জানিয়েছেন , কেতুগ্রাম থানায় দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে । পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে ।