প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- জনতা কার্ফু উপেক্ষা করেই করোনা সংক্রমণ থেকে বিশ্বের সমস্ত প্রণী কলের মুক্তি প্রার্থনায় বসেছিল হরিনাম সংকীর্তনের আশর । রাজ্যের স্বাস্থ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করেই রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের শাকিরা গ্রামে অনুষ্ঠিত হরিনাম সংকীর্তের আশরে সমবেত হন বহু মানুষ ।খোল করতাল বাজিয়ে রাত ৯ পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আয়োজকরা। দুপুরে সেই খবর পৌছায় মঙ্গলকোট থানায় ।এরপরেই নড়ে চড়ে বসেন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কর্তারা । তারা শাকিরা গ্রামের কালিতলায় পৌছে হরিনাম সংকীর্ত বন্ধ করার অনুরোধ করেন । আয়োজকরা পুলিশ কর্তাদের অনুরোধে আমর বন্ধ করেন ।
হরিনাম সংকীর্তনের আশর বসানোর কারণ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা রথীন মুখোপাধ্যায় বলেন ,
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরার হয়ে রয়েছে ভারত সহ গোটা বিশ্ব । লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রথীন বাবু বক্তব্য তাঁরা মনে করেন এই করোনা ভাইরাস সৃষ্টি করেছে ঈশ্বর । তাই এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে গেলে ঈশ্বরের আরাধনা করা দরকার । সেই কারণে এদিন গ্রামের কালি মন্দির প্রাঙ্গনে হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল । সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এক টানা হরিনাম সংকীর্তন চলার কথা ছিল ।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানানোর জন্য বহু মানুষ হরিনামের আশরে যোগ দিয়েছিলেন ।কিন্তু পুলিশ কর্তারা এসে জানান এদিন জনতা কার্ফু চলছে । বর্তমান সময়ে এক জায়গায় বহু মনুষের জমায়েত নিয়ে রাজ্য সকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । পুলিশ কর্তাদের সেই কথাকে মান্যতা দিয়ে এরপরেই তাঁরা হরিনাম সংকীর্তনের আশর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ।
জনতা কার্ফু উপেক্ষা করে করোনা সংক্রমণ থেকে বিশ্ববাসীর মক্তি প্রার্থনায় বসেছিল হরিনাম সংকীর্তনের আশর , বন্ধ করেদিল পুলিশ
Published :