ব্রিক ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ আজ পঞ্চম দিনে পড়ল।দক্ষিণ দামোদর ইটভাটা অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার শৈবাল ঘোষ উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই বাড়ি পাঠাচ্ছেন শ্রমিকদের, জানালেন খণ্ডঘোষ বিপিএসসি র মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জয়তি সরকার ।শশঙ্গা অঞ্চলের নিমতলায় তাদের অফিসেই করা হয় মেডিকেল ক্যাম্প। আজ উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করতে এসেছিলেন তাদের বাড়ি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। সব মিলিয়ে 15 টা বাসে করে ফিরে যাচ্ছেন উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের শ্রমিকরা।
উপস্থিত ছিলেন খণ্ডঘোষ এর বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ, জেলা পরিষদের সদস্য অপার্থিব ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল পাঁজা,ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি মল্লিক, ইটভাটা আসশিয়েশন এর সম্পাদক শৈবাল ঘোষ, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য সহ ইটভাটার মালিকরা। তারাও দেখাশোনা করছেন যাতে কোন ভিড়ভাট্টা বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। এবং চার হাজার পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।এবছর করোনা সংক্রমণ এবং আম্ফান ঝড়ের কারণে ইট উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বাজারে উঠেছে আর্থিক মন্দা।এবার তারা চাইছেন ভাটা গুলো কে সরকারি তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য ও যেন কম সুদে লোন দেওয়া হয়, জানালেন শৈবাল ঘোষ।
উপস্থিত ছিলেন খণ্ডঘোষএর বি এল এল আর ও সুজয় বন্ধু নিয়োগী। তিনি জানিয়েছেন ব্রিক মানুফাকচার অ্যাসোসিয়েশন দক্ষিণ দামোদর শাখারপক্ষ থেকে বিহার ঝাড়খন্ড এবং উত্তর প্রদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মোট ১৫টি বাসে করে নিজ বাসস্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।শ্রমিকদের মেডিকেল টেস্ট করে এবং খাবার জল পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে দিয়ে তবেই বাড়ী ফেরার ব্যবস্থা। পৃথিবীতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার ঘটনা কম নয়। পথমধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায় নয়তো ক্ষুধা-তৃষ্ণায়।দক্ষিণ দামোদর শাখার ইটভাটা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে শ্রমিকদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগে খুশি তিনি। ইটভাটার অ্যাসোসিয়েশনের ন্যূনতম কিছু দাবি-দাওয়া বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক প্রধান এর কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও অঙ্গীকার করলেন সুজয় বাবু।