হ্যাঁরে বিভাস, আজও কি তুই থাকিস দীর্ঘ প্রতীক্ষায়? সারা বছর ধরে এই একটা দিনের অপেক্ষায়! তোর সাথে তো হয় না দেখা কয়েক দশক ধরে তবু আজও সেই অপেক্ষার কথাই মনে পরে! সেই যে যখন খুব ছোট্ট আমরা দুজন হরিহর একই কাজে দিন চলে যায় সুখ- দুঃখের ভিতর। ঠিক তখনই একটা ছবি বইয়ের পাতায় আঁকা আমরা দুজন লুকিয়ে কেমন করতাম পূজা একা। বোশেখ মাসের পঁচিশ তারিখ ব্যস্ত তুই আর আমি দুর্গাপূজার মতোই সেদিন আমাদের খুব দামি, সকালবেলা গেঁথে মালা সেই ঠাকুরের গলায় তুই আর আমি দুজন মিলে কেমন করে ঝোলাই! কাঁপা হাতে কেমন করে জ্বালিয়ে দিতাম ধূপ, চোখটি বুজে দাঁড়িয়ে দুজন এক্কেবারে চুপ! করজোড়ে প্রণাম করে তৃপ্তি পেতাম কতো। কতবার যে চলত পূজা আমাদের ইচ্ছামতো!
সেই যে কবে তোকে ছেড়ে ছিঁড়ে গ্রামের টান ঘর ছাড়লাম, মা ছাড়লাম বুকখানা খানখান তার সঙ্গে গেল ছাড়া একসাথে সেই পূজা। কেন গেল, কিভাবে গেল হয়নি আজও বোঝা!
জানিস বিভাস, আজও করি সেই ঠাকুরের পূজা, পাকা চুল আর পাকা দাড়ি, শিরদাঁড়া যার সোজা। জোড়হাত করে প্রণাম করে দেখি তাঁহার মুখ কিন্তু তোকে পাইনা পাশে, বড্ড লাগে দুখ। তুইও বোধ হয় করিস পুজা অন্তরেরই টানে আমার পাশে থাকার কথা আসেনা আর মনে! যাইহোক তবু একটা কথা অন্তরেতে রাখ প্রাণের ঠাকুর পুজা করিস পঁচিশে বৈশাখ।