অলোক আচার্য, বিশরপাড়া : মান অভিমান ভুলে মানুষের দুয়ারে যান। যারা পেয়ে বসে আছেন তাদের এখন দলের কাজে সময় দিতে হবে। অনেকেই ভাবছেন কাউন্সিলর, এমএলএ কিংবা এমপি হয়েছেন। কেউকেটা হয়ে গিয়েছেন। দুটো মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পেছনে দুটো ছবি না থাকলে দলে আমাদের কোন মূল্য নেই। কেউ যদি নির্দল হিসেবে দাড়াতে চান আপনার হাটুর বয়সী কাউকে হাত জোড়া ফুল চিহ্ন দাড় করালে সে অনায়াসে জিতবে। আমরা যে যেখানে আছি না কেন পুরোটাই আছি। পিছনে দল আছে। মাথার উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সেনাপতির নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোট দোর গোড়ায়, মান অভিমান ভুলে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে পরিষেবা সেবা পৌঁছে দিন। এখনই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের কাছে রাজ্যের উন্নয়ন তুলে ধরুন। তাদের সমস্যার কথা শুনে তার সমাধানের চেষ্টা করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষের কোনও ক্ষোভ অভিমান নেই। আমাদের কারও কারও দুর্ব্যবহারে মানুষের ক্ষোভ থাকতে পারে।
তেমন হলে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মানুষের উন্নয়নের কাজ করুন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশরপাড়া যুব সমাজ ময়দানে ১১০ দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক কর্মীসভায় কর্মী দের উদ্ধুদ্ধ করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কথাগুলি বলেন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা ব্যারাকপুর লোকসভার সাংসদ পার্থ ভৌমিক। পার্থ ভৌমিক বলেন কর্মীরাই দলের আসল সম্পদ। দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের নববারাকপুর ও উত্তর দমদম বিশরপাড়া মানুষদের অনেক কিছু দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদধন্য ছ ছটি দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিনা দিয়েছেন এলাকার উন্নয়নে। না চাইতেই অনেক কিছু দিয়েছেন। এবার তাকে জেতাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কে জেতান। দল যখন যাকে মনে করেছে তাকে নিশ্চই কোন না কোন কাজে রেখেছেন। পদ দিয়েছেন। যে বসে আছে নিশ্চয়ই কোন না কোন কাজ পাবেন। যে দলের জন্য ভাববে, দলের হয়ে কাজ করবে, দল তাকে যোগ্য দায়িত্ব দেবে। কর্মীসভার শুরুতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ।
রাজ্য জাতীয় সংগীত এবং জনগন মন অধিনায়ক জয় হের পর মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্বলন করে সভার সূচনা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ, সাংসদ সৌগত রায়, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নববারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হাবড়া বিধানসভার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নববারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুখেন মজুমদার, উত্তর দমদম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস কর, বিশরপাড়া তৃণমূল নেতা তথা পুর পারিষদ সদস্য দেবাশিষ ঘোষ সহ নববারাকপুর উত্তর দমদম পুরসভার একঝাঁক পুর প্রতিনিধি ও পুর পারিষদ সদস্য ও বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতৃত্বরা। নববারাকপুর ও উত্তর দমদম পুরসভার ৫৪ টি ওয়ার্ডের বুথ কর্মী সহ কয়েক হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সামিল হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ১১০ দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মানুষের কাছে গিয়ে উন্নয়ন তুলে ধরুন
Published :
