পূর্ব বর্ধমান, যা “শস্য গোলা” নামেই পরিচিত, সেই জেলার দক্ষিণ দামোদরের রায়না, খণ্ডঘোষ, এবং মাধবডিহি থানার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি। এই অঞ্চলের কৃষকদের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে খণ্ডঘোষের ব্লক কৃষি দপ্তর।

সম্প্রতি, খণ্ডঘোষ ব্লকের কৈয়র অঞ্চলের তোরকোনা এলাকার চাষযোগ্য জমির উর্বরতা শক্তি যাচাই করতে মাটি পরীক্ষা করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, কৃষকদের আগাম জানানো যে চাষের পর কী ধরনের সার প্রয়োগ করতে হবে, যাতে ফলন সর্বোচ্চ হয়। আজ তোরকোনা বাজারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের হাতে সেই মাটি স্বাস্থ্য কার্ডের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর শফিকুল ইসলাম এবং তোরকোনা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রিপন মুন্সিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কৃষকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগের ফলে কৃষকরা আগে থেকেই জানতে পারবেন কোন সার কতটা পরিমাণে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মাটি স্বাস্থ্য কার্ড হাতে পেয়ে এলাকার কৃষকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই কার্ডের ফলে তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন এবং উৎকৃষ্ট মানের ফসল ফলাতে পারবেন, যা ফলন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, প্রতিটি ফসলে বীমা প্রকল্প চালু করার জন্য এবং সেই বীমার টাকা সময়মতো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ায় কৃষকরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এই প্রকল্পগুলি কৃষকদের জীবনে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে এবং তাদের আর্থিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করেছে।
এই পদক্ষেপগুলি পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং রাজ্যের কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।