অর্পিতা, হৈমন্তীর পরে এবার সোমা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবার আরও এক রহস্যময়ী নারীর খোঁজ। পুরো নাম, সোমা চক্রবর্তী। ইডি সূত্রের খবর, টেট দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে নাকি খোঁজ মিলেছে এই সোমা চক্রবর্তীর। অভিযোগ, ২০২০ সালে এই সোমা চক্রবর্তীকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। এমনকি, লেনদেন হওয়া টাকার অঙ্ক ৫০ লক্ষ টাকাও ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।শুধু লক্ষ লক্ষ টাকাই নয়, এই সোমা চক্রবর্তীকে ফ্ল্যাটি- গাড়়িও নাকি দিয়েছিলেন ধৃত যুবনেতা।

যদিও এদিন এই যাবতীয় কথা অস্বীকার করেছেন কুন্তল। দাবি করেছেন, সোমা নামে কোনও মহিলাকেই নাকি তিনি চেনেন না। তাঁর কথায়, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” অন্যদিকে, কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্রে এই সোমা চক্রবর্তী নামের মহিলার খোঁজ মেলায় এদিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলবও করে ইডি। নোটিস পেয়ে হাজিরাও দেন সোমা।জেরার মুখে হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা এই কুন্তলেরই মুখে উঠে এসেছিল তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতি এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নাম। কুন্তলের অভিযোগ, এই গোপাল এবং তাঁর স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার একটা বড় অংশ ট্রান্সফার করা হয়েছিল।
এদিন আদালতে কুন্তল আরও একবার দাবি করেন, ওই দুজনের কাছেই চাকরি দুর্নীতির বিপুল টাকা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর রেডারে রয়েছেন এই গোপাল এবং হৈমন্তী।হৈমন্তীকে নিয়ে সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই সোমা নামে আরও এক ‘রহস্যময়ী’র প্রসঙ্গ উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে। শুক্রবার কুন্তলকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক।