রথীন রায় :- জনসাধারণের যে অংশ আবহমান কাল ধরে শুধুমাত্র তাদের লিঙ্গগত পরিচয়, বয়স, তুলনামূলক শারীরিক অক্ষমতা ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে অত্যাচারিত, অবহেলিত ও উন্নয়নে ব্রাত্য থেকেছে, নারী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ সেই অংশের মানুষের সুরক্ষা, সমতা এবং সামাজিক অন্তভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে ! সমাজের এই অংশের মানুষদের মধ্যে আছেন নারী, বরিষ্ঠ নাগরিকবৃন্দ এবং প্রতিবন্ধী, রুপান্তরকামী ব্যক্তি, গৃহহীন ও মাদক/মদে অত্যাসক্ত ব্যক্তিরা !
নারী-উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ বিভাগের দপ্তরগুলি হল – সমাজকল্যাণ অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সমাজকল্যাণ পর্ষদ, ভবঘুরে নিয়ামকের কার্যালয়, প্রতিবন্ধীদের জন্য মহাধক্ষের কার্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ নারী কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং রুপান্তরকামী উন্নয়ন পর্ষদ ! তারপরেও ফতোয়া ?
মেদিনীপুর শহরে ডায়মন্ড স্পোর্টিং ক্লাবের তরফে নোটিস দিয়ে জানানো হলে মাঠে সন্ধ্যার পর মহিলাদের আর থাকা যাবে না !
এই নোটিশকে কেন্দ্র করেই এলাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক ! রাঙামাটির ডায়মন্ড স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, খেলার মাঠে থাকার সময় বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা ! এছাড়া খেলার মাঠে কোনো রকম খাদ্যদ্রব্য, ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেট নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ! একই সঙ্গে মহিলাদের মাঠে থাকার বিষয়ে জানানো হয়েছে, নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহিলারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন !
খেলার মাঠে মহিলাদের জন্য সময় বিভাগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ! যদিও শহরের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব কতৃপক্ষের বক্তব্য, কোনো রকম ভেদাভেদ বা বিতর্ক তৈরির জন্য নয়, মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে !!