জীবনে কোনদিন ভুলবো না ।গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা হয়নি, তাই বিদ্যালয়ের বাইরে বাঁশের মাচা করে থাকতে হচ্ছে। আমরা কি মানুষ নয়। পেটের টানে ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে যেতে হয়েছিল আমাদের। দুটো পয়সার টানে। আজ নিজের গ্রামে এলাকা মানুষ চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আমাদের দেখে। আমরা কি মানুষ নয় প্রশ্ন পরিযায়ী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ভিন রাজ্য থেকে ফেরত সকলকে ইনস্টিটিউট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করেছেন ।
কিন্তু খাওয়ার বা জল কিছুই পাচ্ছেনা পরিচয় শ্রমিকেরা ।কোথাও আবার মহিলাদের জন্য নেই কোনো পৃথক রুম, ফলে অন্য পুরুষদের সাথেই একসংগে থাকতে হচ্ছে, জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের এই হাল চোখে পড়লো সর্বত্রয়। কোথাও আবার সরকারিভাবে নয়, শাসকদলের দলের বদান্যতায় থাকতে পারলেও খাওয়ার আনতে হচ্ছে বাড়ি থেকে। আবার বাড়ির লোকের এলাকাবাসীর কটূক্তিও শুনতে হচ্ছে ।
ফলে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশ্ন, বাড়ি থেকে খাওয়ার দিতে এলেইতো তাদের সংস্পর্শে চলে এলাম, তাহলে কোয়ারান্টাইনে থাকার কি মানে হলো। অনেককে আবার লালা রস পরীক্ষা না করেই 14 দিন পর বাড়ি যেতে হচ্ছে। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।