কৃষ্ণ সাহা (বর্ধমান): – ইলেকট্রিক শক লেগে শরীর ঝলসে গিয়েছিল বর্ষা রায় নামে একটি মেয়ের। তারই পাশে এবার দেবদূতের মতো এগিয়ে এল হেল্প নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ইতিপূর্বে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রায় ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বর্ষার চিকিৎসার জন্য। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বর্ষার চিকিৎসা করতে আনুমানিক দু’লাখ টাকার প্রয়োজন রয়েছে।
সেই কারণেই হেল্প নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে তুষার পান ও ডন-বস্কো স্কুলের ১৯৯৫ ব্যাচের তার বন্ধুরা মিলে আবারও 50000 টাকা তুলে দিয়ে গেল বর্ষার মায়ের হাতে। যাতে বর্ষার চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়ম না ঘটে তার জন্য তুলে দেওয়া হল এই টাকা। ইতিমধ্যে হেল্প সহ আরও বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সব মিলিয়ে বর্ষার চিকিৎসার জন্য তার মা-বাবার হাতে প্রায় 1 লক্ষ টাকার বেশি সাহায্য তুলে দিয়েছেন।
এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে বর্ষা রায়। নার্সিংহোম থেকে বর্ষা ফিরলে পরবর্তী তিন মাস ড্রেসিং খরচা অন্যান্য ঔষধ পত্রের খরচা বহন করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে হেল্প-এর সদস্যরা। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে পূজা ভুঁইয়া, অমিত দত্ত, সৌম্য হাজরা কয়েকজন সদস্যরা বর্ষা রায়ের বাড়িতে এসে এই টাকা দিয়ে গেলেন। বর্ষার মা প্রিয়াঙ্কা রায় এর একটাই আবেদন পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলির কাছে, সকলের থেকে সাহায্য পেয়ে তার মেয়ে যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি আসে।