উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : জয়নগরে তৃনমূল নেতার পরস্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক হাতে নাতে ধরে ফেললো গ্রামবাসীরা।পোস্টে বেঁধে চলে গণ প্রহার।পরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।জয়নগর থানার চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উলুরদাঁড়ি গ্রামের তৃণমূল সদস্য সুপর্ণা হালদারের স্বামী মহেশ হালদার এর অবৈধ সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেল এবার।স্ত্রী রাজনৈতিক আসনে, আর স্বামী ধরা পড়লেন অন্য নারীর সঙ্গে, গভীর রাত পর্যন্ত বেঁধে রাখা হলো তাদের বিদ্যুৎ পোস্টে।সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের জয়নগর থানার বামুনগাছি অঞ্চলের তাঁতি পাড়া গ্রামের ঘটনা।

অভিযুক্ত মহেশ হালদার রিংকু মন্ডল নামে এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পরে গ্রামবাসীদের হাতে।বিদ্যুৎ পোস্টে বেঁধে রেখে চলে গণ প্রহার।পরে জয়নগর থানার ঢোষা ক্যাম্পের পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে জয়নগর থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশ হালদার জয়নগর থানার অধীনে এক সময় সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু একাধিক অনিয়ম ও আচরণগত সমস্যার জন্য তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়,তবুরাজনৈতিক পরিচয় ও শুধু ক্ষমতার প্রভাবের জেরে এলাকায় এমন কাণ্ড ঘটায় বলে জানালেন গ্রামবাসীরা।
তারা বলেন,বেশ কয়েকবছর ধরে ওদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো।প্রায়দিন রাতে মহেশ ঐ গৃহবধুর বাড়িতে যেত।আর এদিন রাতে রাস্তার ধারে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় আমরা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলি।এব্যাপারে অভিযুক্ত মহেশ হালদারের স্ত্রী তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সূপর্ণা হালদার বলেন,তার স্বামীকে রাতের বেলায় ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।তাঁর স্বামী এধরণের কাজ করতে পারে না।অপর আর এক অভিযুক্ত গৃহবধূ রিংকু মন্ডলের স্বামী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি এদিন।মঙ্গলবার বেলায় জয়নগর থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে জয়নগর থানা থেকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।আর এই ঘটনায় এলাকায় উওেজনা আছে।