আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পানীয় জলের দূর্ভোগে ক্ষুব্দ গ্রামের মানুষ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
দীপ শীল ত্রিপুরা 17 নভেম্বর
পানীয় জলের দূর্ভোগে ক্ষুব্দ গ্রামের মানুষ। ঘটনা ত্রিপুরার চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রংমালা ভিলেজ কমিটির দুরন্ত পাড়া এলাকায়। এই গ্রামে পানীয় জলের জন্য একটি মার্ক টু কল বসানো আছে। এই মার্ক টু কল টি ই এই গ্রামের মানুষের পানীয় জলের একমাত্র ভরসা। অত্যন্ত উঁচু পাহাড়ি এলাকা। মার্ক টু কল ছাড়া জল উঠে না।
কিন্তু এই মার্ক টু কলের জল এলাকাবাসী পান করতে পারে না। কারণ এই মার্ক টু কল টি থেকে কোন সময় লাল জল কোন সময় ঘোলা জল কোন সময় আয়রন জল আসে। এবং জলের মধ্যে প্রচন্ড দুর্গন্ধ। যার ফলে গ্রামের মানুষ এই মার্ক টু কলটির জল পান করতে পারে না। এই পাড়াতে প্রায় 70 টি পরিবার রয়েছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারের পানীয় জলের জন্য একমাত্র ভরসা এই মার্ক টু কল টি।
কিন্তু সব সময় আয়রন জল বের হওয়া য় গ্রামের মানুষ এই কলের জল পান করতে পারেন না। অনেক দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয় এই পাড়ার মানুষদের। বহুবার রংমালা ভিলেজ সচিবসহ গ্রামের এবং পাড়ার মাতব্বরদের জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছেনা বলে গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে সংবাদ প্রতিনিধি কে খবর দিয়ে নিয়ে যান এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন।
গ্রামবাসী দাবি রেখেছে অতি দ্রুত যাতে চরিলাম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং এই মার্ক টু কল টি কে এই স্থান থেকে উঠিয়ে অন্যত্র যাতে নতুন করে বসানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং লেয়ারটা যাতে ভাল হয় সেই দাবি তুলেছেন গ্রামের মানুষ।
কারণ এই মার্ক টু কল টি কলটিথেকে জল আসে। তবে লেয়ারটা ভালো হয়নি কলের।যার ফলে সব সময় ঘোলাজল লাল জল আয়রন জল বের হয়। জামা কাপড় পর্যন্ত এই মার্ক টু কলের জল দিয়ে ধোয়া যায় না। জামা কাপড় আয়রনে ডিসকালার হইয়ে নষ্ট হয়ে যায়।যার ফলে গ্রামের মানুষ একসঙ্গে দাবি তুলেছেন অতি দ্রুত যাতে নতুন করে কলটি বসানোর ব্যবস্থা করে দেয় প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের জন্য গ্রামের মানুষদের দূর-দূরান্তে যেতে হয়। সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বলে গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেছেন।

 

See also  বিজেপির যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করছে - মুখ্যমন্ত্রী

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি