দুর্গাপুজো শেষ হলেও উচ্ছ্বাসের রেশ এখনো বাতাসে। দেবী বিদায়ের দিনটিকে আরও আনন্দমুখর করতে কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন জেলায় জেলায় বিসর্জন কার্নিভাল আয়োজনের প্রথা। সেই ধারাবাহিকতায় এবছরও শনিবার, ৪ অক্টোবর রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বিশেষ শোভাযাত্রা।
উমার বিদায়ের সেই রঙিন আয়োজন দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স (X) হ্যান্ডলে তিনি শেয়ার করেছেন বিভিন্ন জেলার প্রতিমা বিসর্জনের মনোরম কিছু মুহূর্ত।

তিনি লিখেছেন,
‘আজ দেবী দুর্গার বিসর্জন উপলক্ষে আমাদের সরকারের উদ্যোগে জেলার পথে পথে হলো জেলার কার্নিভাল – বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা, যা উৎসবের শেষ মুহূর্তকে করে তুলেছে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আবেগঘন। জেলার প্রধান শহরগুলিতে এই বিসর্জনের কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলার সেরা প্রতিমাগুলি সুসজ্জিত ট্রাকে বা ট্যাবলোতে সেজে বিসর্জনের এই বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিসর্জনের এই বিশেষ শোভাযাত্রার কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।’
এবারের কার্নিভালে শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, হুগলি থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার — সর্বত্রই ছিল জনতার ঢল ও উৎসবের আবহ। রঙিন আলো, সুসজ্জিত ট্যাবলো ও সুরের মেলায় প্রতিটি জেলায় দেবী বিদায়ের দৃশ্য যেন আরও আবেগঘন হয়ে উঠেছিল।
রবিবার, ৫ অক্টোবর কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের মেগা কার্নিভাল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশি-বিদেশি অতিথি ও ইউনেস্কো-র প্রতিনিধিরা। ২০২১ সালে দুর্গাপুজো ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই উৎসবের বিস্তৃতি রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে শুধু কলকাতার বড় পুজোগুলির অংশগ্রহণে এই কার্নিভাল শুরু হলেও পরে জেলাগুলিতেও একইভাবে প্রতিমা বিসর্জনের ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
প্রতিটি শোভাযাত্রার শেষে একটাই বার্তা প্রতিধ্বনিত হয়েছে — ‘আসছে বছর আবার হবে।’








