আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

দু’মাস আগে তিন কোটির বেশী টাকা খরচ করে অজয় নদের ভাঙন রোধের কাজ হলেও ফের শুরু হয়েছে ভাঙন- ক্ষোভে ফুঁষছে আউশগ্রামবাসী।

By krishna Saha

Updated :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৯ সেপ্টেম্বর

কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী বাঁধের ভাঙন রোধের যে কাজ হয়েছিল তা দু’মাসও টিকল না । অজয় নদে জল একটু বাড়তেই পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের দেকুড়ি গ্রামের ফের শুরু হয়ে গিয়েছে অজয় নদের বাঁধের ভাঙন।জমি
সহ শালবল্লা ,বালির বস্তা সবই তলিয়ে যাচ্ছে আজয় নদের গর্ভে। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে দেকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহলে। ।তারা নদী বাঁধের ভাঙন রোধের কাজে দুর্নীতি ও অর্থ নয় ছয়ের অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয়েছেন।

 

আউশগ্রামের বড় সমস্যা অজয় নদের ভাঙন। নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন এখানকার বাসিন্দারা । সেই মত আউশগ্রামের দেকুড়ি গ্রামের কাছে ১২০০ মিটার এলাকা জুড়ে অজয় নদের বাঁধের ভাঙন রোধের জন্য সরকারী ভাবে তিন কোটির বেশী টাকা বরাদ্দ হয়।মাত্র দু’মাস হল সেই অর্থে শালবল্লা ও বালির বস্তা দিয়ে অজয় নদের বাঁধের ভাঙন রোধের কাজ হয় । এখন অজয় নদের জল একটু বাড়তেই সেই শালবল্লা , বালির বস্তা সবই নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর ।

 

 

গ্রামের বাসিন্দারা বলেন,এবছর এমনিতেই বর্ষার বৃষ্টি তেমন ভালো হয় নি। কৃষিদপ্তরের দেওয়া তথ্যও বলছে এবছর বর্ষায় বৃষ্টি বেশ ঘাটতি আছে
।বৃষ্টি ভালো না হওয়ায় নদীর জলও তেমন বাড়ে নি। গ্রামবাসী সুধন্য মেটে,তপন মেটেরা বলেন অজয় নদের জল বীরভূমের দিকে না গিয়ে তাদের গ্রামের দিকে অর্থাৎ আউশগ্রামের দিকে বেশী প্রবাহিত হচ্ছে।এতে নদের বাঁধে ক্ষয় হচ্ছে। বীরভূমের দিকে নদের বালি জমে জমি তৈরি হয়েছে। আর আমাদের জমি নদের গর্ভে তলিয়ে গেছে। মূল বাঁধের গোড়ায় নদের জল ধাক্কা দিচ্ছে। আর এতেই বাঁধ ক্ষয় হচ্ছে। সেই জন্যই সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বাঁধ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না ।

See also  বনমহোৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পদযাত্রা

 

এখন অজয় নদের জল সামান্য বাড়তেই সব ভেঙে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। তপন মেটের অভিযোগ ,“পরিকল্পনা করে কাজ না করার জন্যই এই অবস্থা। বাঁধের ক্ষয় রোধের জন্য সরকার থেকে যে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ
খরচ না করেই কাজ করা হয়েছে বলেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। যেটুকু টাকা খরচ হয়েছে তার সবটাই এখন জলে চলে যাচ্ছে।

 

 

সব শুনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন,ওই কাজের জন্য ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এই বিষয়ে সেচদপ্তরের বাস্তুকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।কি কাজ হয়েছে তা আমি নিজে খতিয়ে দেখতে যাব।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি