বাবু সিদ্ধান্ত, বর্ধমান
সর্ব ধর্মের মহা মিলন ভূমি এই ভারতবর্ষ।তাই সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনই বাঙালির জীবন দর্শন। এটা যে নিছক কথার কথা নয় তা পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেই স্পষ্ট করেদিলেন বর্ধমান শহরের এক বাঙালি পরিবার ।লক ডাউনের করণে নিজেদের বাড়ি ফিরতে না পারা দুই কাশ্মীরি মুসলমান যুবকে আশ্রয় দিয়েছেন বর্ধমানের ভাতছালা বাসিন্দা পল্লব দাসের পরিবার ।শনিবার থেকে তাঁদেরই বাড়িতেই নামাজ পাঠ শেষে রোজা খুলে ইফতার সারেছে ওই দুই কাশ্মীরি মুলমান যুবক ।রোজার দ্বিতীয় দিনেও তার কোন ব্যতিক্রম হলনা ।

আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের পবিত্র রোজা পালন ওই ইফতারের যাবতীয় কিছু আয়োজন সম্পন্ন করে চলেছেন পল্লব দাস ও তার মা রাইমণি দাস।ভিন ধর্মের প্রতি বাঙালি দাস পরিবারের এই শ্রদ্ধাশীলতায় মুগ্ধ দুই কাশ্মীরি যুবক ফৈয়াজ আহমেদ ও মনজুর আহমেদ । তাঁরা নিজেরাও এদিন স্বীকার করলেন সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার মহত্মবোধ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের দেখে শিখতে হবে ।

পল্লব দাস ও তার মা রাইমণি দাস এদিন জানালেন , প্রতিবছর শীতের শুরুতে ফৈয়াজ ও তার ভাই মনজুর কাশ্মীর থেকে বর্ধমানে চলে আসে ।রাইমণিদেবী বলেন, যুবকরা এবছরও তাঁদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে নভেম্বর মাসথেকে থাকতে শুরু করে। তাই দায় বিপদে তিনি তাঁদের পাশে থাকেন। ফৈয়াজ ও মনজুর এপ্রিল মাস পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র বিক্রি করে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোখার জন্য লক ডাউন জারি হতেই এবছর ওরা বিপাকে পড়েযায় ।কাশ্মীরের বাড়িতে আর ফিরতে না পেরে ওরা তাঁদের বর্ধমানের বাড়িতেই আটকে পড়ে ।তারই মধ্যে রোজা শুরুর দিনও নির্দিষ্ট হয়েযায় । রাইমণিদেবী জানালেন ,রোজা পালনে ফৈয়াজ ও মনজুরকে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য তিনি ও তাঁর ছেলে সর্বত ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েদেন ।
