সিঙ্গুরের এক নার্সিংহোমে প্রশিক্ষণরত নার্স দিপালী জানার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন দুইজন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নার্সের কর্মস্থল সেই নার্সিংহোমের মালিক এবং দিপালীর প্রেমিককে সিঙ্গুর থানার পুলিশ আটক করেছে। শুক্রবার তাঁদের চন্দননগর আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়।

তদন্তে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নন্দীগ্রামের বাসিন্দা দিপালীর। সম্প্রতি সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। এর পাশাপাশি নার্সিংহোম থেকে অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে যাওয়ার কারণে মালিকের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য তৈরি হয়। বুধবার রাতে নার্সিংহোমের চারতলার একটি ঘর থেকে দিপালীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ কলকাতা মেডিকেল কলেজে দেহের ময়নাতদন্ত হবে। শ্রীরামপুর ওয়ালসে ফরেনসিক পরীক্ষার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ কলকাতায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে দেহ নিয়ে যাওয়া ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দেহ নিয়ে যাওয়া সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর শ্রীরামপুর বটতলা মোড়ে সিপিআইএম কর্মীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কিছুক্ষণ পর অবরোধ তুলে নিয়ে তারা ঘোষণা করে, আগামীকাল শ্রীরামপুর থানাকে ঘেরাও করা হবে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। সিপিআইএম ও বিজেপি অযথা রাজনৈতিক জলঘোলা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শাসকদলের নেতারা।
সব মিলিয়ে প্রশিক্ষণরত নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ফের চড়ছে রাজনৈতিক পারদ, উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হুগলি জেলা।