কৃষকসেতু বাংলা, কৃষ্ণ সাহা, কলকাতা:
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন। তবে তার মাঝেই ২১ জুলাই শহিদ দিবস ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতি। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

তৃণমূলের অন্দরে স্পষ্ট বার্তা— এবারের একুশে জুলাই শুধুমাত্র স্মরণসভা নয়, বরং সেখান থেকেই শুরু হবে আগামী নির্বাচনের লড়াই। ভোট যুদ্ধের ঢাকে কাঠি পড়বে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার শহিদ দিবসের বক্তৃতা থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে চলেছেন, এমনই ইঙ্গিত মিলছে তৃণমূল শিবির থেকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শহিদ দিবস ঘিরে জেলা স্তরে সভা-সমাবেশের প্রস্তুতি যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই ১৪ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্তরের পরিকল্পনা। আগামীকাল ভবানীপুরে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসছে এক বড়সড় বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান এবং কলকাতা উত্তর ও বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্যদের।
বিশেষ করে বীরভূম ও কলকাতা উত্তর— এই দুটি জেলাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে শহিদ দিবসের দিন রাজ্যের কোন কোন অংশে কোন নেতা কোথায় থাকবেন, কোথায় সভা হবে, কী বার্তা দেওয়া হবে— সেইসব বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হবে।
এক তৃণমূল শীর্ষ নেতার কথায়, “কয়েকদিন আগেই একুশে জুলাই নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। এবার ১৪ জুন একটি বড় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই শহিদ দিবস পালনের খুঁটিনাটি নির্ধারণ করা হবে।”
এছাড়াও ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলিকে একযোগে মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একুশে জুলাই ঘিরে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয়তা বাড়াতে চাইছে দল। নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই বছরের শহিদ দিবস হবে আরও বেশি লক্ষ্যভিত্তিক, আগ্রাসী এবং জনমত তৈরির মঞ্চ— এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
সব মিলিয়ে, একুশে জুলাইকে সামনে রেখেই ধাপে ধাপে নির্বাচনী রণনীতি সাজাতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।