উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: পুজোর পরেই কুলতলি থানার পশ্চিম দেবীপুর এলাকায় নেমে এল শোকের ছায়া। আত্মহননের পথ বেছে নিল বছর তেরোর এক স্কুল পড়ুয়া। মৃতা ছাত্রীর নাম রিয়া দাস,সে পড়াশোনা করতো কুলতলির দেবীপুর এইচএম বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণিতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে টিউশন সেরে বাড়ি ফেরে রিয়া।এরপর।স্বাভাবিক ভাবেই বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করে।
তারপর নিজের ঘরে যায় বিশ্রাম নিতে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তার কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। ঘরের দরজা খুলতেই চোখে পড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে রিয়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে জয়নগর কুলতলি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় নেমে আসে গভীর শোক, হতবাক প্রতিবেশীরা।

কী এমন কারণ যে ছোট্ট মেয়েটি চরম সিদ্ধান্ত নিল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশ।এই আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। রিয়ার মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের পাশাপাশি স্কুলে ও শোকের আবহ। শিক্ষক ও বন্ধুরা কেউই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়াটাকে। পুলিশ এদিন দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।