কৃষক সেতু বাংলা(কৃষ্ণ সাহা ) – রমজান মাসের প্রথম দিন আজ। ফলের বাজার, মিষ্টির দোকান খাঁ খাঁ করছে। যাও বা গুটিকয়েক খরিদ্দার আসছে দোকানে, অর্থের অভাবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার যথেষ্ট কম সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। করোণা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। যানবাহন, দোকানপাট একপ্রকার বন্ধ। সমস্ত শ্রেণীর মানুষ আজ কর্মহীন।গৃহ বন্দী হয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই কোনো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান এবং মিষ্টির দোকানে ছাড় মিলেছে। অর্থাভাব গ্রাস করেছে মানুষকে , তাই লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে আশা করেন না দোকানের মালিক রা। পবিত্র ঈদের জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা এই সময়টিতে রোজা পালন করেন। সারাদিনে একবার ইফতার করেন তারা। ধনী হোক বা গরীব নিজেদের স্বার্থ মত ফল মিষ্টি কেনার হিড়িক লেগে যায় বাজারে বাজারে। এবছরের ছবি পুরো উল্টো। সকাল থেকে খদ্দেরের দেখা মেলেনি দোকানে, জানালেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রাজ কুমার ঘোষ।
যে কোন জিনিসের দাম প্রায় আকাশছোঁয়া। তা নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয়ত্বের বাইরে। প্রত্যেক বারের মতো এবারেও রোজা পালনে ব্রতী ইসলাম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা।


42 বছর ধরে ফল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শেখ গোলাম নবী। এমন পরিস্থিতি আগে দেখেননি তিনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলের দাম কম রেখেছেন তিনি। কিন্তু সংক্রমনের ভয়ে বাজারের দিকে ঘেঁষছে না কেউই। যার কারনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারাও।
তবে দূরত্ব বজায় রেখে, প্রটেকশন নিয়ে যারা বাজারে আসছেন তারা কম দামে নিয়ে যাচ্ছে ফল। ফলের যোগানো রয়েছে তবে ক্রেতা নেই। বাজার হাট যেন শুনশান। প্রত্যেককেই লকডাউন মেনে চলছেন। নিতান্তই একজন মানুষকে বাইরে বেরোতে দেখা গেলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা ফিরে যাচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছেন একজন ক্রেতা শেখ নিজামুল হক।