প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান
প্রচারে বের হওয়া তৃণমূল প্রার্থী শম্পা ধারার উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো বিজেপির দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধানসভার বড়বৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের দেনো গ্রামে । হামলায় চার তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন । তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়েছে ।

হামলার ঘটনার বিষয়ে এদিনই মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তৃণমূল প্রার্থী শম্পা ধারা জানিয়েছেন । পাল্টা অভিযোগে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, তৃণমূল বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে ‘গ্রাম ঘিরে’ তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে । এই ঘটনার পর শুরু হয়েছে পুলিশি ধরপাকড় । রাত অবধি পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে । উত্তেজনা থাকায় এলাকায় জারি রয়েছে পুলিশ টহল ।

বিজেপি নেতৃত্বে যদিও দাবি করেছেন তৃণমূলের প্রচার মিছিলের পিছনে থাকা একটি ট্রাক্টর থেকে তৃণমূলের লোকেরা এরপর ইট ছোঁড়া শুরু করে । ইট বছর ছয় বয়সী এক বালকের পিঠে লাগে। সে খবর পেয়ে ওই পাড়ার লোকেরা প্রতিবাদ জানালে তৃণমূল তাঁদের উপরে চড়াও হয় । তা নিয়েই চরম অশান্তি বেঁধে যায় বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ ।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন ‘জয় শ্রীরামের’ পাল্টা তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছিলেন। তা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হতেই বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে থাকা কর্মী-সমর্থকরা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের প্রচার মিছিলের উপর হামলা চালায়। মিছিলের সামনে থাকা তৃণমূল প্রার্থীকেও তাঁরা ঘিরে ধরেছিল।

তাঁদের মধ্যে তিন জন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে । একজনকে বর্ধমান মেভিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সৈয়দ কলিমুদ্দিন জানিয়েছেন। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বিজেপির লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসীম পাল অভিযোগ করেছেন ।
রায়না বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক কৃশানু রায় যদিও তৃণমূলের আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন । পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন ,বিজেপির কেউ অশান্তি পাকাতে যায়নি । বরং তৃণমূলই বহিরাগতদের দিয়ে গ্রাম ঘিরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল।“ অন্যদিকে এলাকার বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সৌমেন কোলে দাবি করেছেন, “ তৃণমূলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে হামলা চালিয়েছে। তাতে একটি বালকও জখম হয়েছে।মানুষ ওদের দিক থেকে সরে যাওয়ায় তৃণমূল এখন সন্ত্রাস কায়েম করে ভোটে জিততে চাইছে’ ।